নায়িকা ফরেন গেলেন, নায়কও, তবে আলাদা আলাদা। টাইমপাস করার মতো বেশকয়েকটি ঘনঘটার পর নায়িকার সঙ্গে নায়কের দেখবার মতো প্রথম দেখা হল মেট্রোস্টেশনে, বিদেশেই। যথারীতি ফোকাস বেশি করে দু'জনের ওপর ছিল। নায়ক একটু মিনমিনে ভেড়ার মতো অহিংসভাব নিয়ে কিছু একটা করতে বা বলতে চাইলেন ছানাবড়া হৃদয়ে কিন্তু নায়িকা নাকসিটকে এক কি দুটো বিরক্তিসূচক শব্দ খরচ করে বেরিয়ে গেলেন। নায়ক তারপর থেকে টিকটিকির মতো নায়িকার আশেপাশে চরে বেড়াতে লাগলেন, নির্দেশকের ইতর আমদানির আশায়। একদিন সময়ে ইতর'রা এলেন এবং নিয়ম অনুযায়ী নায়ক নায়িকাকে উদ্ধার করলেন। নায়িকা যাওয়ার সময় পেছনে ফিরে দেখলেন অসাধারণ নায়ককে, ব‍্যাস, হৃদয় পাল্টাপাল্টি শুরু হয়ে গেল। একটা গান হল পাহাড়ে সমুদ্রে হাত বাড়িয়ে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ টাইমপাস হল‌। আবার একটা গান হল, ফুল বাগানে ঘরে। এবার নায়িকার বাবা জানতে পারলেন মেয়ের কেচ্ছা। নায়ককে উপড়ে ফেলতে তিনি গুন্ডা মজুত করলেন। ততক্ষণে নায়ক এবং নায়িকা দু'জনেই দেশে ফিরে এসেছেন। নায়কের আর্থিক কষ্টের বিশেষ কিছু সিন চলল। তারপর দারিদ্রতা মেনে নিয়ে নায়ককে বিয়ে করতে চাইলেন নায়িকা এবং পরিণাম স্বরূপ গৃহবন্দী হলেন। একটা বিষাদের গান মানে স‍্যাডসং হল। নায়িকার চোখেমুখে জল, নায়কের উসকো-খুসকো চুল। অন‍্যদিকে নায়িকার বাবার মজুত গুন্ডারা তাঁরই বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নায়িকাকে ফুঁসলাতে এই না না ভোগ করতে উদ্ধ‍্যত হল। তবে আলুদোষ থাকলেও গুন্ডারা বেশ ভদ্র, গালাগাল করে না। বাবা ও নায়িকা স্বাভাবিকভাবেই নায়কের বাড়িতে এসে ঘটনাসব খুলে খুলে বললেন। অতপর লড়াই শুরু হল। নায়কের যেহেতু আগে থেকেই গুন্ডা পেটানোর ট্রেনিং ছিল, এবারও তিনিই সফল হলেন, ঘুসুম-ঘাসুম হল খুউব, শুধু গুন্ডারা সংখ‍্যায় বেশি ছিল ব'লে হাতে কপালে ফ‍্যাকচার হয়ে গেল। নায়িকা অভ‍্যেস মতো ওড়নার কিয়দংশ ছিঁড়ে নায়কের হাতে কপালে বেঁধে দিলেন। ইতিমধ্যে ঘটনায় হুড়মুড়িয়ে পুলিশ ঢুকে গুন্ডাদের নিয়ে গেল।


পুনশ্চ: বাকি অংশবিশেষ আপনারা হলে গিয়ে চেখে নিতে পারেন।