অনেকগুলো বছর পার ক’রে আমার যাত্রা।
তবু আরও হেঁটে চলার ব্যাকুলতা আছে।
বহুবার বাতাস চ’লে গেছে বাতাসের মতোন,
আমার শরির ছুয়ে।
আকাশের অন্ধকারে যখন শ্রান্ত হয়েছিলাম পথের ’পরে।


রাত্রি মলিন হলে ভোর হয়ে আসে।
-তেমনি কৈশোরের কত রাত হয়ে গেছে পার,
ডীমা’র ধাঁর, ঘাঁট, পাঁড়,
ডীমা’র প্রশ্বাস-
তার গন্ধ শুধু আমি, একা আমি, আজীবন পান করিঃ
আজও মনে পরে, কত বছর পার হল,
তবু, হে তমা, কখনই বলতে পারিনি তোমাকে,
তুমি যে অজানার গভিরে চলে যাচ্ছ-
“আমি তোমাকে ভালোবাসি”।


ভোরের আলো গাঢ় হলে সকাল হয়ে আসে।
আকাশে ক্ষীণ মেঘ। বাতাস বইছে।
আবার আমার হাঁটাপথ উত্তরের দিকে।
অনেক শুধু তোমার কথাই হাতছানি দেয়, তমা;
মনে আছে? তুমি বলেছিলে-“ক্ষণিক দাঁড়াও, ‘বিদায়’ বলার আগে”।
‘বিদায়’ বলা হলনা, শুধু চ’লে এলাম!
অনেক বছর আগে।
তখনও তোমার কাছে করিনি সেই কথার অভিপ্রায়-“তোমাকে ভালোবাসি”।
বলতে পারিনি তোমায়।
তুমি জান, আমি তোমাকে মিথ্যা বলতে পারব না!


বহুযুগ ধরে মানুষ সেই উদ্যোগেই অনেক কবি হয়ে গেছেন;
অনেক আন্দোলনে, অনেক ধর্মে, অধর্মে হয়ে গেছে।
সেই চেতনার উষ্ণতায় প্লাবিত মন কিনাড়া খোঁজে,
অথবা ভেসে যেতে চায়।


-আমার যাত্রা উত্তরের তরে।
তমা, এই দেশে সবাই কবি অথবা বিপ্লবী হতে চায়;
আমি নাগরিক হয়ে দেখিয়ে দেব তাদের,
তোমায় ভালোবেসে।


ভেবেছিলাম, তুমি কোনদিন,
কোন রোদ্র বা ছায়ার দুপুরে অথবা রাত্রিরের অন্ধকারে
মরে মিশে যাবে বনানীর রহস্যলোকে,
আজ যেই তুমি অজানার গভিরে চলে যাচ্ছ;
ও আমার চোখ তোমায় না-দেখার অশ্রু ঝরাত।
তবে, সেই দুপুর বা রাত্রীর রচনা করেননি এখনও বিধাতা;
কেননা, আমি বেচে আছি।