যে মেয়েটির আজ সলিল সমাধি হলো,
কিংবা গতদিনের বিয়ের প্যান্ডেলে যার জানাজা পড়তে হলো আজ,
তার কী তবে এমন করেই চলে যাওয়ার কথা ছিলো?
যে স্বপ্নকে ঘিরে, এক জোড়া নর-নারী জোট বাঁধলো,
আশা ছিলো, এক চাউনির তলে একসাথে বাঁচার!
অথচ মুহূর্তেই যেন ধ্বসে গেলো তাও,
প্রমত্তা নদী সব ভেঙে করলো চুরমার।


মেহেদী রাঙা হাত এখনো শুকায়নি যার,
জীবনটা নদীর জলে মিশে একাকার!


কে নিবে এর দায়ভার?
চঞ্চলা নদী!
অতিরিক্ত যাত্রীবাহী নৌযান কর্তৃপক্ষ!
নাকি নিয়তির নির্মম খেলা!
অথবা প্রকৃতির চরম প্রতিশোধ!


শুধু কী মেয়েটিই মরে গেল?
সাথে তো আরেকটা ছেলেও বিপত্নীক হলো।
মরে গেছে একটা জীবন্ত স্বপ্নও!


যে চলে গেছে, সে হয়তো বেঁচে গেছে,
কিন্তু, যে বেঁচে আছে, সে তো জীবন্মৃত!
রাঙা হাতের বিবর্ণ মেহেদী তাকে তিলেতিলে কাঁদাবে!
হয়তোবা নিশ্চিন্ত সান্ত্বনা খুঁজবে বিধাতার অমোঘ বিধানে.....!


ফুলশয্যার আগেই ওদের মেহেদি রাঙা হাত ধুয়ে মুছে বিবর্ণতায় চেয়ে দিয়েছে রাক্ষুসে নদী!!
____________
২৮ মার্চ ২০২১;
সকাল ৬.৩০ টা।