উত্তরের হিম কুহেলী যখন শরীরে কাঁপন ধরায়-
তখনই টের পাই শীত এসেছে ভবে, হেমন্ত বিদায়!
ওম খুঁজি সবাই, ভাঁজ করা লেপ-কম্বল-কাঁথায়
আবার কেউবা উদোম শরীরে শীতে অসহায়!


কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফগলা ঠান্ডা যখন আসে ধেয়ে
দাঁড়াই কী কখনো শীতবস্ত্রহীন মানুষের পাশে গিয়ে?
রং-বেরঙের বাহারি পোশাক, তুলে নিয়ে গায়ে-
সামর্থ্যবানরা ওমে থাকে, বস্ত্রাবৃত মাথা হতে পায়ে!


শৈত্য যখন জেঁকে বসে, ঠকঠকিয়ে কাঁপায়-
একটুখানি দেই কী সময়, ছিন্নমূলদের চিন্তায়?
যদি তা না পারি, বন্ধ করে চোখ ভাবি নিরালায়
কোনোদিন পৌঁছি যদি আমরা ওদের জায়গায়!
কিভাবে কাটাবো শীত? কি হবে তখন উপায়?
গুটিসুটি মেরে পথের ধারে ঝুপড়ি ঘরে নিরুপায়!


এতটুকু দয়া জাগ্রত হোক, প্রাণটা কাঁদুক মায়ায়-
একটা প্রাণীও কাঁপুক না শৈত্যে, ভাবনা মাথায়!
উনুনে সবার জ্বলুক আগুন, পুড়ুক না মন চিতায়;
শীতের ওম বস্ত্রে আসুক, এটাই জন্মাক ভাবনায়!
___________[মোহাম্মদ দীদার হোসেন]
২৪ ডিসেম্বর ২০২০।