অনেকটা সময় চিন্তায় কেটে গেলো-
দু'কলম শরৎ বন্দনা লিখবো বলে-
উপজীব্য খুঁজে খুঁজে হয়রান,
মাথায় যেন কিছুই আসছে না,
আবার কতো কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে......!


সিদ্ধান্তহীনতায় কেটে গেল ক্ষণিকের জন্য!


দক্ষিণা বাতায়ন খুলে বাহিরে তাকালাম-


দেখলাম নদীতিরে সাদা কাশফুল,
যার শুভ্রতা আমায় করেছে আকুল!
বাতাসে কাশফুলের দোলায়,
দুরন্ত শিশুরা সেথায় মেতেছে খেলায়।


মাতাল সমীরণে সময় কাটাই হেলায়,
অবগাহী রূপসাগরে যেন অবহেলায়!
মাঠে মাঠে সবুজের হাতছানি-
মুগ্ধতায় ভরা বাংলার প্রকৃতিখানি।


তারপর-
একটু মুখ তুলে আকাশপানে তাকালাম -


দেখলাম পুঁজো তুলোর ছড়াছড়ি-
নীলের গায়ে সোনালী আর সাদার গড়াগড়ি!
মেঘ আর সূর্যের চলছে লুকোচুরি,
মুক্ত বিহঙ্গরা দিগ্বিদিক করছে ঘুরাঘুরি।


মেঘেদের ছুটে চলা কিংবা স্বাধীনতা,
পাখিদের কোলাহল,  মুক্ত পথচলা ;
সবুজের শ্যামলিমায় আছে মুগ্ধতা,
কাশফুলের শুভ্রতায় নেই ছলাকলা!


আপ্লূত আমি, অভিভূত আমি, মজে গেছি ততক্ষণে;
চোখ বুঁজে কল্পলোকে, ভাসছি সাগর জলে অনুক্ষণে!


হঠাৎ শোঁ শোঁ শব্দ, শীতল পরশ, মেঘের গর্জন, বজ্রপাত, এক লহমায় সব লন্ডভন্ড করে দিলো সব।


দক্ষিণা বাতায়ন সেঁটে দিয়ে, আবারও চক্ষু মুদিলাম-
শরৎ আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের মায়াবী চাহনি ভাসে।
হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজে শিহরণ আসে।


আত্মতুষ্টিতে ভুগতে ভুগতে আবারও ভাবি -
এ আর এমন কী!
বাংলার প্রকৃতিতে ঋতুবৈচিত্র মাদকতায় পূর্ণ !
যা করে দিতে পারে সব অহমিকাকে চূর্ণ!!


মনটা যেন আটকে গেল, শরৎ প্রকৃতির ঝলকে -
এলোমেলো শরৎ বন্দনা লিখিলাম এক পলকে!
_________________________
০৮ অক্টোবর ২০২০;
বিকাল ৪.০০ টা।