নাগরদোলায় শিলাখণ্ডের আর এক পরিক্রমা শেষে চোখ ও মনের দর্শন আর অনুভূতির মিশ্র প্রলাপ .........



ভরা শীতে মিষ্টি রোদের আহামকি সোহাগ….
উপচে পড়া আবেগ কানায় কানায়
উঁচু বাড়ির হলুদ দেওয়ালে ।  
খোলস ছেড়ে নাড়ছে কড়া কাছের বসন্ত ;  
দুলছে টবে ভারী গঠন চন্দ্রমল্লিকা
ঘোমটা খোলা নজর বিছোলে ।  


বানের জল আয়েসী ঢঙ
পাথর মাটির খাঁজ ;            
ডাকের সাজে উলুধ্বনি পাহাড়ি ঝর্ণা ।      
ফলসা গাছের ঝরা পাতা
ওড়ে চমক ঝড়ে ;  
অলস খসা বুকের কাপড়, কেতাবী  মূর্ছনা ।  


মাঝে মাঝে খানা ডোবা, টলটলে জল ;  
ডিম ফোটা চারা পুঁটি
অরুণিমায় মজে,    
নার্শারি ছন্দে সঙ্গ উপভোগ ।  
জল জোয়ারে আবোল-তাবোল
খানিক শীতল হাওয়া ;    
ছোট লাফে গা-জোয়ারি,
ঊষ্ণ সুখ লোভ ।  


চোখ খোলা দায় নিভলে দিনের আলো,    
কানের পাশে গোছা চুলের দোল  
আজব সুরে শন্‌শনি
শোনায় কোলাহল ।      
ঘাত প্রতিঘাত
ভাঙ্গা কাঁচে জোড়,    
ইচ্ছে আঁকে উটপাখি ঠোঁট ;  
নাড়ছে কড়া সহস্র শোরগোল ।  


লিখে রাখি বেশ তো আছি সবাই ;  
চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পড়া
ট্রাফিক সিগন্যালে,
হুড়োহুড়িতে হিসেব গোলমেলে    
ভরছে ঝুড়িতে ।      
তবুও কেমন সুখের আকর
এই ভরা পৃথ্বী ।


পাহাড় ক্ষয়ে নুড়ি-পাথর, ভালই আছি ।