ভারী দেহ কবুতর গোবর গণেশ  
পাক খেয়ে ঘোরা শেষে
স্মরণে জীবেশ ।  
আড়ি পেতে মালা গেঁথে চড়ক সফরে ;    
গবাক্ষে নিরালায় শিকের গরাদে ।  
অজানা দূরের পথ এক জোড়া চোখ -  
চঞ্চল প্রাণবায়ু, দত্যি শশক ।    


মৌ মৌ সেঁকা রুটি, তপ্ত তাওয়া
স্থলে জলে ভীমরতি
শুধু আসা যাওয়া ;  
তালপাতা হাওয়া চায় সিন্ধুঘোটক ।  


স্বরনলি সরুপথ বিরুদ্ধ দ্বার,  
উদ্ধত ঝড় সাথে গোপন আচার ।    
বেতাল ছন্দে তাই নির্গত শ্বাস  
বয়ে গেল ধীরে,
অতি ধীরে ।  


হ-য-ব-র ভাবনায় কবিতার খাতা......
শিহরিত বাঁশ বাঁশি হতাশায় ত্রাতা ।
শরবতী কথারা মহুয়া মদির,  
জোয়ারে ভাটার তাল ফন্দি-ফিকির ।    
আধবুলি শব্দের মানে বিদঘুটে ;  
বনরাজি তমালে
কড়া রোদ মিঠে ।  


সবে ভোর ভ্যায়রো(রাগ) সমাহিত ‘নি’  
অধরের কম্পন সাঁঝ রুক্মিনী ;  
গঙ্গার তীরে তুমি ঈশ্বরী পাটনি ।  
সেউতি উঠলো দুলে আগুন পলাশে  
ওপারের পথ চেয়ে আমি অভিমানী ;
ঢেউগুলো কাঁপা জলে নটী বিনোদিনী ।    


গেছে দিন চেনা পথ,
রোজ সকালে -
এ এক নতুন আমি
মায়ার মোহে
গবাক্ষে নীল চোখ দাবী কৌশলে ।