বলতো কথা ওরা - অনেক উঁচু গলায়,
শোরগোলে অবিরাম কাঁপে
কানের পাতলা পর্দা ।
বলতে হবে, শোনাতে হবে
জমে যাবে আসর ;
রসিক আফিম নেশায় মেতে
জীবন জয়ের তর্জা ।
এ যেন ঠিক ভোর না হতে
দলে দলে কাক
রোদের ঠিকানায় !
হেলিয়ে ঘাড় এধার ওধার
‘সু’ বা ‘কু’ নজর ।
ঠাওর হ’ল -
ভাগশেষ শূন্য রেখে
ভোগের দেনাপাওনা,
কে কিংবা কারা !!!
ছিটিয়েছে, অচ্ছেদ্যার টুকরো টুকরা রুটি ;
ফুটপাতের খানিক জায়গা জুড়ে ।
মাতিয়ে পাড়া সমস্বরে ওরা
জমিয়ে দিচ্ছে আসর
বিকট ‘কা’ ‘ কা’ রবে ।
একটু দূরে -
প্রাচীন বৃদ্ধ বট, ঝুড়ির সমারোহে
মৃদু মন্দ ব্যজন গুঞ্জরণে ;
হাতে গোনা ঐ যে ক’জনা,
সাকার ব্রহ্মজ্ঞানে !
ঝরে পড়া ছিন্নপত্রে
সালোক-সংশ্লেষ আশে
যোগাসনে, জগৎ চেনায় ব্রতী ;
বেখেয়ালের কাল…..
‘অনিত্যে’ ব্যাকুল আহুতি ।
এও এক ব্রহ্মাণ্ডের
পাথর ভাঙার আসর ।
গোধুলিবেলা শেষে, নরম সাঁঝের আলো ;
সযতনে লুকিয়ে পক্ককেশ
জোট বেঁধে হাঁটে - j
এই পাড়ারই নামজাদা সখী, ঘরণী ।
অবসরের মনোরঞ্জন - মাতাল আবেশে
জীবন জয়ের প্রবল চাপে
ভাগ ও ভোগের জব্বর কাহিনী…….
তৃপ্ত মন, জোয়ার ছন্দে মাতাল দুলুনি ।
এরাও জমায় আসর ।
একই আকাশ তলে,
রঙিন মেলার ভিড় নয় যে এ -
নরম মাটির করুন গাথা, মোচড় দেওয়া মন ;
জড়িয়ে আবেগ কুড়িয়ে নেয় পাথর, খোলামকুচি…..
স্নিগ্ধতার সসীম নিবেদন ।
আপন ধারার স্রোতে, যার যে রকম রুচি ।
রোদ, আলো, বাতাস
কড়া গণ্ডার মাপ ;
ব্যালকনির আদুরে টব, ভরা বিশ্বাস ।
ছোট্ট ডালপালায়, জমায় প্রেমালাপ
অসম ভাবের দোলা ;
আনন্দে মৌমাছি মন, মরুদ্যান-গোলাপ ।
(মরুদ্যান-গোলাপ - Adenium obesum)