কাঁচা পাকা আমের বাহার
সারি সারি সাজিয়ে পসার
চিতিয়ে বুক যুদ্ধ জয়ের
আহ্লাদী সুর ফেরিওয়ালা ।
ফি বছরে এমন ছবি
নতুন কী ।


বোকা সেজে স্বপ্ন দেখা ,
শিহরণে আবেগঘন ভালবাসা
অকারণে হুঙ্কার দেয় যখন তখন ।
ডাক দিয়েছে নতুন সকাল
বয়স জেনে
লাভটা কী ।


ভয় এসেছে
আঘাত লেগে মনে ,
ঘোলাটে চোখ -
মালভূমি দেয় আশা
চাঁদ কে ঘিরে
নানান ছলাকলা -
দূরের তারার ভাগ্য জেনে
চনমনে মন, পাঠায় চিঠি নিমন্ত্রণের
ফুটিয়ে ফুল এক চিলতে ছাদে
স্বপ্নটা কী ।


গোপন তো নয়
নিত্যদিনের নতুন ক্ষত
ব্যথা নিয়ে আছি বসে
এই আমরা আর সকলে
অবিরত ;
হাওয়ার স্রোতে গল্প শুনে বিব্রত মন
বিচলিত হলেই বা তার
উত্তর কী ।


পায়ের পাতা সুড়সুড়ি দেয়
বেরিয়ে পড়ার ডাক শোনা যায় ;
ধন্দ লাগে উদার কণ্ঠে
জানান দিতে -
ঘুম ভাঙাবে না হয় দোয়েল, অন্য পাখী ।
অভ্যেস টা রইল চাপা
লজ্জা কী ।


হ্যামেলিনের বাঁশি উঠল বেজে,
ইঁদুর ছানার মহামিছিল পিছে;
হিম ঘরেতে পচা আলুর স্তূপ -
মহাভোজের ছিল নিমন্ত্রণ ।
খোলা আকাশ বাতাস পেল
পাথর চাপা বুক ;
পাখনা যদি পেল
বেড়াল ছানা
উড়তে পারে কী ।


দিন দুপুরে বিন্দু ঘামে কপাল
অবিশ্বাসের নামাবলি গায়ে
আলাপ তখন
পদ্মপাতায় জল -
দিকে দিকে ছলছলিয়ে সুখ
শোনাতে হয় রামায়নের গাথা ;
ছন্নছাড়া ভবঘুরে
বিদ্ধস্ত দিন ।
সমাজ বোঝে অন্য ভাবে
সন্দেহ কী ।


বোঝানো দায় দূর দিগন্তে
সূর্য ডোবার আলো,
মাখো মাখো ভালোবাসায়
নতুন পরিচয় -
বিদেশিনী সাথী ।
গাঁয়ের হাটে কৃষ্ণ বর্ণ গোলাপ
হচ্ছে আলাপ
নিবিড় সঙ্গোপনে ;
রাঘব বোয়াল থাকল আটক জালে
তালে গোলে বেসুর লহরা ।
আলাপ তখন পুড়ে হচ্ছে লাল
জানা আছে কী ।