ময়ূরপঙ্খী ভাসিয়ে শান্ত নীড়ে -
কলকে ফুলে ছলকে পড়া মধু -
ক্ষণপ্রভা নগরনটী কল্লোলিত বিধু -
কৃষ্ণ-কালো থাকল মিশে সেই আঁধারে -
          অনেকদিন আয়না থেকে দূরে ।  


ময়ূরপঙ্খী ভাসিয়ে শান্ত নীড়ে .........  


এক চিলতে জমি আকাশ তুমুল কামনা,
বিদেশীয় দুব্বা লনে সতেজ সীমানা ।  
উত্তরবায় হেলায় ফেলায়, পাগল বাউল গাথায় ;        
আবোল তাবোল তুলোর পুতুল
উড়নচণ্ডী মতি ।


কলকে ফুলে ছলকে পড়া মধু .........


নিবিড় আলাপ ছোঁ মারল দূরের বাজপাখী,  
হতাশ মনের কৃষ্ণচূড়া সুখের টুকিটাকি ;
অনুশাসন আতস বাজি
ছন্দহারা রকেট,
বাদুড়-ঝোলায় আকাশনন্দিনী ।  


ক্ষণপ্রভা নগরনটী কল্লোলিত বিধু .........


পদ্মপাতা জল ধরে না, পদ্মফুলে তোমার মুখ ;  
এই জলেতে কচুরিপানা এই জলেতে স্বর্গসুখ ।  
সরগমের ধারাপাতে দীঘির ছায়া কেঁদে ব্যাকুল,  
মেঘপরীরা হাওয়ায় মিশে
বৃষ্টি এনে করল ভুল ।


কৃষ্ণ-কালো থাকল মিশে সেই আঁধারে .........  


ইলশে গুড়ি বৃষ্টিকণা,  হাল্কা শীতে দিচ্ছে হানা ;
গুনগুনিয়ে ঝংকারিত পাপড়ি খোলার আঘ্রানে ।
সপ্তঋষি চেনার শেষে
নতুন বছর এলো ঘুরে,
কৃষ্ণ প্রেমে, পাগল মহাপ্রভু ।


অনেকদিন আয়না থেকে দূরে .........    


সাঁঝের আলো নিকষ কালো
হাত বুলিয়ে কাঁচে,  
বাবলা কাঁটায় বিঁধে থাকা
বিরোধ অশ্রুধারা -  
অসহায় ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে জিভ ।