শুরু - বাতাস ভীষন ভারী ।

সজাগ আলিঙ্গনে বিশ্বাসী আলাপন
করেছিলে সেদিন ধন্য ।

সোফায় পাশাপাশি - অগোছালো যখন
ঠোঁট ছুঁয়েছে খানিক গরম চা ;
ধুকপুকানি বুকের বাদ্যি  
ঘূর্ণিঝড়ে চুর্ন ।

অসময়ে ঝরেছে কটা শিউলি    
খিদে বাড়িয়েছে আচমকা
শিলাস্তরে চাপাচাপি
পায়ের তলার মাটি, বোধ হয় নড়লো তখন ।

ভীষন ঠকেছি,  
ঠকিয়েছি আমিও তাদের
যারা ছিল কাছাকাছি ।

পিতামহের চলা গ্রামীণ পথ,শক্ত মাটি
সদর্পে পা ফেলেছি, আমি হেঁটেছি…..
‘ঐ’ হাতের ছোঁয়া স্বপ্নে পেয়েছি ।  

সেদিন থেকে বন্ধ চোখে
হাতড়ে বেড়াচ্ছি ।

ঠুনকো শখের-কাচের-গ্লাস ;
ভরে ছিলাম দুষ্কর যত রুচিকর সব পানীয় ।
মনে ছিল আলিঙ্গনের আদরমাখা শ্বাস ।

ছোট্ট টোকায়,  আর এক আলিঙ্গন
না ছিল ভান কিংবা ছল
জগত জোড়া ব্যস্ত বিপণন ।

ছুরিকাঘাতে বিশ্বাসী মন
করেছি ছিন্নভিন্ন
শাস্তি পেতে আমি অপেক্ষায়
আমি যে আজ বন্য ।  

বিশেষ কথা - ভাবনা সবার নিজের । হয়তো লেখায় অনেক হিজিবিজি । মনের কোণে যদিবা কাটে আঁচড়, তবেই পাব আদর। শুভকামনায়।