শীতের ভোরে ঘুঘু ডাকে নিঝুম নিরলে ব’সে
শীত সকালে পাড়াপড়শী মজে খেজুর রসে।
খুব সুস্বাদু খেজুরের রস শীতল করে প্রাণ
মাতাল করে সব পাড়াময় কাঁচা রসের ঘ্রাণ।
শিশির পড়ে পাতায় পাতায় মোতির মত লাগে
রবির কিরণ পেয়ে শিশির হাসে আবীর রাগে।
মোরগ ডাকে উঁচু স্বরে ভানু ওঠার কালে,
পাখি করে কিচিরমিচির গাছের ডালে ডালে।
কে শোনে আজ পাড়াগাঁয়ে চিড়া কুটার শব্দ?
নির্দয়কাল ছোবল দিয়ে সব করেছে জব্দ।
সব ঐতিহ্য বিলুপ্ত আজ কোথায় কাঠের ঢেঁকি?
আসল বস্তু নেইতো কিছু সবই নকল দেখি।
খেজুরের রস সন্দেহময়, ভাইরাস নাকি আছে?
রস যদি হয় অপেয় তবে কি করে প্রাণ বাঁচে?
কালের গ্রাসে প্রকৃতি খুব অসহায় হয়ে পড়ছে
নদীগুলো ভাঙ্গন লেগে চর পড়ে তাই ভরছে।
সমাজ নীতি অদ্ভুত হেথা পাতি নেতার প্রভাব
কেউ শোনে না সদুপদেশ শালিনতার অভাব।
দম্ভ বিদ্বেষ মান অহঙ্কার এসব সবার পুঁজি;
উন্মাদের ন্যায় ধেয়ে করে স্বার্থের খোঁজাখুঁজি।
স্বার্থোদ্ধারে নরহত্যায়ও হাত কাঁপে না মোটে
ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে প্রাণ সংহারে ছোটে।
সহিংসতা সামাজিক ব্যাধি সারা দেশময় বাড়ছে,
মহামারিসম দুর্নীতি খুব দেশ-সমাজকে মারছে।
প্রতিদিনকার প্রেক্ষাপটে ভয়ানক ছবি আছে
অপরাধের স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরি কার কাছে?
দুঃখের দহনে দেশপ্রেমিকরা চাপা কান্না করে
চুপিসারে মানসিক ব্যথায় পাঁজর ফেটে মরে।
অনেক বিষয় থাকবে বাকি সাঙ্গ হবার নয়
গোচরে আড়ালে ঘটিছে সংঘাত দেশ ও বিশ্বময়।
আর কী আছে দেখার বাকি কালের ছোবলের দৃশ্য?
কঠিন কালের ছোবলে আজ ক্ষতবিক্ষত বিশ্ব।