সুকোমল করকমলেষু …।
হে সাধক,তুমি ইহলোকের খ্রীষ্টের স্বয়ং প্রতিনিধি ,
তুমি খ্রীষ্টান বিশ্বের ভক্তগণের মহান করুণানিধি ।
এই বিশ্বভুবনের খ্রীষ্ট মণ্ডলীর শীর্ষ গুরু তুমি ,
আজ তোমারই পরশে পুণ্য হবে, আমাদের বঙ্গভুমি ।
আজ তব শুভাগমন, স্বাধীন বাংলার মানুষের মাঝে ,
সফল হোক তব আগমন যাচনা করি পরম রাজে ।
তোমাকে জানাই বিনীতভাবে, আন্তরিক অভিনন্দন !
পুণ্য-পরশে, বাংলা-ভাতিকানের দৃঢ় হোক চির বন্ধন !
হে কাণ্ডারী, তব দৃপ্ত বাণী, শ্রুতিমধুর অতিশয় !
এমন বাণী যেন, জীবন পথের পাথেয় হয়ে রয়।
পাপাচার পরিহার করে, মানুষ হয়ে উঠুক মহৎ ,
অপরাধের আঁধার কাটিয়ে, আলোকিত হোক জগৎ।
কপোতরূপে, উড়ে এসেছ, শুন্য আকাশ পথে
আগত তুমি, ঐশ দূতরূপে ,আল ইতালিয়া-রথে।
উদার ওহে মানব সেবক, পুণ্য পিতা চির সত্য !
তব আগমনে, গীতি-কীর্তনে, নরনারী শিশু মত্ত !
বাংলাদেশ সরকারের সহৃদয় আমন্ত্রণ ল’য়ে ,
তাইতো তব শুভাগমন আজ শান্তির বাণী বয়ে !
বঙ্গবাসী প্রণতি জানায়, পুণ্য পিতার পদমূলে
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টানের পুলকে মন দুলে !
শান্তির বাতাস প্রবাহিত হোক, ফের বাংলার বুকে ।
জনবহুল বাংলার মানুষ, বাস করে যেন সুখে।
জঙ্গি তৎপরতা উচ্ছেদ হোক, জগতে আসুক শান্তি
গঠিত হোক বিশুদ্ধ সমাজ , মুছে যাক সব ভ্রান্তি।
সু –সন্ন্যাসী, পোপ ফ্রান্সিস, সকলের শ্রদ্ধা ভাজন !
অসাধারণ ধর্ম-পুরুষ সুখ-সাম্যের রাজন !
হে পিতা, চুমিলে তুমি বঙ্গভূমি, অতীব নম্র চিত্তে ,
আকূলে পরাণ, নব আনন্দে, মেতে উঠে মন নৃত্যে !
এমন ভাবে বার বার যেন তব সান্নিধ্য পাই !
তোমার কাছে আধ্যাত্মিক শিক্ষা, লাভ করতে চাই ।
শেষের প্রণাম লও হে পিতা, ভাসি নয়ন জলে !
অতঃপর তুমি আকাশ পথে স্বদেশে যাবে চলে !
ধন্য ধন্য, হে পোপ মহোদয়, আঁকা রইল তব স্মৃতি,
বিদায় বেলায় লহো আমাদের শুভেচ্ছা-ভরা প্রীতি ।।