ছোট্ট মোদের গ্রামখানি
         শুলপুর তার নাম ;
দৃশ্য যত আছে সেথা
         দেখতে অভিরাম !
ছোট নদী বয়ে গেছে
         গ্রামখানি ঘেঁষে
সুখী-দুঃখী স্নান করে
         এক যোগে এসে ।
এ গাঁয়ের বধূগণের
         মধুময় হাসি,
সোনালী ঝলক ঝরায়
         কত রাশি রাশি ।
সারি বাঁধা বৃক্ষরাজি
         সারা গ্রাম জোড়া,
দূর থেকে মনে হয়
         ফুলের তোড়া ।
স্নানে এসে বধূ সব
         করে যে কৌতূক ,
কৌতূক করে পায় তারা
         অনাবিল সুখ !
রসালাপে মুগ্ধ হয়
         কুলের বালাগণ
প্রফুল্ল থাকে তাদের
          সদা সরল মন ।
নদী তীরে কাশবন
          সাদা সাদা ফুল
গ্রামখানি চিনে নিতে
          হয়না কো ভুল ।
সুরোপিত বট গাছ
          আছে নদীর কূলে ,
প্রাণ জুড়ায় কত লোক ,
           ব’সে বটের মূলে ।  
আমাদের প্রিয় গ্রামে
           যত গুণীজন
তারা যে আমার কাছে
           অমূল্য রতন ।
স্মরণ করি শ্রীগুরুকে
           নিধন ডিঃ তার নাম ,
স্বর্গে আছে পরম সুখে
           জানালাম প্রণাম ।
প্রণতি জানাই সদা
           পিতা মাতার পায় ,
জ্ঞান সুধা ঝরায় যেন
           কবিতার খাতায় ।
জ্ঞানী-গুণীর চরণ ধূলি
           মাখি আমার মাথে
সকলের আশিস  যেন
           থাকে আমার সাথে ।
আরো একজন ধর্মগুরু
           মাইকেল যার নাম ;
তিনি আছেন স্বর্গধামে
           জানালাম প্রণাম ।
ছেড়ে যাই আজকের মত
           কবিতার আসর
বহু কথা বাকি রইল ,
           এই গাঁয়ের উপর ।।