দল বেঁধে সব চলে এসো ভাই পদ্মা নদীর তীরে,
নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যেতে চাইবে না ফিরে।
সৌন্দর্যবৃদ্ধি হচ্ছে হেথায় সমগ্র বিক্রমপুরে,  
নগরায়ন হচ্ছে দ্রুতবেগে উপজেলাগুলো জুড়ে।


পদ্মা সেতু নির্মিত হলো সোনার গাঁথনী গাঁথা
বিশাল সেতুর দৃশ্যপটে মায়ের আঁচল পাতা।
ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু,আকাঙ্ক্ষিত ফল,  
দক্ষিণবঙ্গের গণমানুষের সুস্বপ্নের ফসল।


দর্শনার্থী কতো আসে এখানে পদ্মা সেতুকে ঘিরে,
জনহৃদয়ে সুখের প্লাবন আবার আসছে ফিরে।
সরকারের আরো মেগা প্রকল্প অসমাপ্ত যতো
একনিষ্ঠতায় রয়েছে তারা বাস্তবায়নে রতো।


সরকার তার কার্যসমাধান করছে একে একে
প্রতিজ্ঞাভঙ্গ হয় নি কখনও সূচনালগ্ন থেকে।
ধন্য ধন্য মহান সরকার জাতির মহা নায়ক
বিশ্বপতি দেশের উন্নয়নে সদা হোক সহায়ক।


পদ্মা লুটেছে বহু সম্পদ, রাজাকে করেছে প্রজা
করাল গ্রাসে গ্রাস করেছে প্রকাশ্যে লুটেছে মজা।
পদ্মার ভাঙ্গনে মানুষ হয়েছে দরিদ্র সর্বহারা
ভূ-সম্পদ তাদের গিলে খেয়েছে করেছে স্বপ্নহারা।


রাক্ষসী নদী পদ্মা, যার কালনাগিনীর স্বভাব
ধনীকে সে ফকির করেছে,যার ছিল না অভাব।
পদ্মায় হয়েছে লঞ্চডুবি কতো অসংখ্য জীবন নাশ,
স্বপ্ন ভেঙ্গেছে হাজারো মানুষের হরেছে মনের আশ।


তাই তো এখন পদ্মার ওপর সেতু দৃশ্যমান হলো
নব উল্লাসে নয়ন জুড়াতে সবাই মাওয়াতে চলো!
দ্বিতল সেতুর উপরতলাতে চলবে হাজারো গাড়ী      
নিচের লাইনে রেল চলবে হাওয়ার বেগে ছাড়ি।  


তাই তো বলি সুহৃদ সকল হেলা কোরো না কখন
আমার গাঁয়েতে আসতে তোমায় করছি আমন্ত্রণ।
দৃশ্যমান হয়েছে বিশাল সেতু পদ্মার বুক চিড়ে  
নানা রঙের স্থাপনা এখানে শ্যাম বনানীর ভিড়ে।


যেখানে রয়েছে বহু রেস্তোরাঁ স্থানটি হলো মাওয়া
হরেক পদের ভর্তার স্বাদে ঘরে হবে না যাওয়া!!
আর না করো কালবিলম্ব মাওয়াতে ছুটে আসো
রূপালি পদ্মার ইলশে খেয়ে রসনার রসে ভাসো!


নদীর ওপারে আছে অদেখা দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য
আছে সেথায় বিশালাকারে শ্যামল-সবুজ বিশ্ব।
ধীরে ধীরে যাবে সুহৃদ দক্ষিণ বঙ্গের জেলায়
সেথায় গিয়ে সাধ মিটাবে ফলফলালির মেলায়।


শেষ স্প্যানটি যুক্ত হলো দুই পিলারের ওপর,
তাই তো হর্ষধারায় ভাসে হৃদয় সরোবর।
মানুষের যতো দুর্ভোগ ছিল সমাপ্ত হলো আজ
সেতু প্রকল্পে নিযুক্ত যারা নিখুঁত তাঁদের কাজ।

চলো সুহৃদ চোখ জুড়াতে মোহন সেতুর তীরে
একবার এলে মন ভরে না আসতে হবে ফিরে।
এবার আমি বিদায় চেয়ে আমন্ত্রণ করি শেষ
মাওয়া প্রান্তর একটুকরো সোনার বাংলাদেশ।