.


         স্বাগতম আজ আগত আষাঢ় প্রবল মুষলধারে
         তোমার আগমনে ধমনী নাচে মরমে পুলক বাড়ে।    
         আসো আষাঢ় গুরুগুরু শব্দে আকাশ বিদারি আসো,  
         সঘন ধ্বনি তোলে সারা তল্লাটে অঝোর ধারায় ভাসো।  
          
         দাদুর-দাদুরী জলের পরশে উঠিছে ভূমি ফুঁড়ে,
         সদলে ওরা পুলকিত মনে গান তোলে চেনা সুরে।    
         আষাঢ়ের ছোঁয়ায় কদমকুঁড়ি ফুটিছে শাখে শাখে,
         নিবিড় বনে পাপিয়া ব’সে বউ কথা কও ডাকে।  
  
         ওই যে চাতক ঝাঁক বেঁধে উড়ে মেঘলা নীলাম্বরে,
         মেঘের বারি যাচে চাতক তৃষ্ণা মিটাবার তরে।        
         মেঘের জলবিহীন চাতক পাখি বাঁচে না কভু প্রাণে  
         তাইতো চাতক চেয়ে থাকে সদা দূর গগনের পানে।


         হাটুরে লোক আষাঢ়ধারে ভিজে হয় খুব নাকাল  
         বানের কারণে হাট মিলে না কেমনে ঘুচে আকাল।      
         গরিবের তরে এই বর্ষাঋতু অভিশাপ মনে হয়,    
         অতিবর্ষণে বেকার লোকজন ঘরেতে বন্দী রয়।    
        
         কে চায় বন্যা বঙ্গবাসী কে চায় কষ্টের জীবন  
         বন্যা নেয় ফসল কেড়ে ফিরিয়ে দেয় না কখন।        
         দামাল ওরে আজ যাসনে বাহিরে পুলকে খেলিবারে  
         চেয়ে দ্যাখ উপরে অসীম আকাশ ঘিরেছে অন্ধকারে!  
          
         আষাঢ় যেন করে না কখনো অসুরমূর্তি ধারণ    
         আষাঢ় যেন হয় না কখনো নিরানন্দের কারণ।        
         ডঙ্কা বাজিয়ে ওই আষাঢ় আসে প্রচণ্ড মুষলধারে  
         গাঙের বুকে ওই তরঙ্গমালা ফুসে ওঠে একেবারে!
  
         নগরীতে আষাঢ়ের ধারা জলাবদ্ধতা করে সৃষ্টি        
         নগরবাসীর দুর্ভোগ আনে অবিরাম অতিবৃষ্টি।      
         আষাঢ় মাসেই বর্ষা আসে প্রকৃতির এই প্রথা    
         আষাঢ়কে ঘিরে কবি লিখে রোমান্টিক স্মৃতিকথা।


         আষাঢ় অতি পছন্দের মাস সরসতা নিয়ে আসে  
         আষাঢ়ের ন্যায় মানবহিয়া আনন্দধারায় ভাসে!      
         আষাঢ় আসুক আনন্দ বয়ে হতাশা বয়ে নয়,
         অঝোর ধারায় আসুক আষাঢ় প্লাবন হয়ে নয়।