এসেছে ফিরে শুভ বসন্ত ষড়ঋতুর হাত ধরে
বন উপবন পুষ্পপল্লবে ক্রমশ যেতেছে ভরে।
সারা বাংলাকে পাখির কাকলি করে তুলিছে মুখর
প্রাকৃতিক শোভায় ঘর-পরিবেশ লাগিছে সুখকর !
কী যে বৈশিষ্ট্যে সেজেছে বসন্ত নানা আবিরে মাখা,
শিমূল পলাশ যূথী মালতী মুকুলিত আম্রশাখা।
আবাল বৃদ্ধ বণিতার মনে জাগরিত অনুরাগ,
ফাল্গুন বলে কৃষ্ণচূড়াকে, ঢেলে সাজাও কুসুমবাগ।
বাহান্ন সালের আট ফাল্গুন, একুশে ফেব্রুয়ারি ছিলো,
পাক-শাসকরা বুলেট ছুঁড়ে, কতো প্রাণ কেড়ে নিলো!
সেই থেকে সেই কালদিনটিরে শহিদ দিবস মানি
ভাষার দাবিতে বর্বর দল করেছিলো রাহাজানি।
ফাল্গুন বাঙ্গালির পথ প্রদর্শক,মুক্তির সহচর
রক্তের বদলে বিজয় এসেছে ষোলই ডিসেম্বর !!
উপেক্ষিত ছিলাম আমরা, পাক-শাসকের কাছে
পরাধীনতার শৃঙ্খলে থেকে কী করে জাতি বাঁচে ?
পরাধীনতার দাগ কেটেছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রাণে,
সেই দিন হতে তিনি, সংগ্রামী হন বাংলার পরিত্রাণে।
জীবনযৌবন জলাঞ্জলি দিয়ে কারাবাস করেন যিনি
সেই দেশপ্রেমিক শেখ মুজিবুর জাতির পিতা তিনি।
কতো ফাল্গুন মাস আসে আর যায় স্বাধীন বঙ্গভূমে,
এমনই ফাল্গুনে কতো সোনামানিক, ঘুমিয়েছে মহাঘুমে !!
কতো শত বদন উচ্ছ্বাসে ভরে, বসন্তের এই দিনে,
বসন্ত মূলত ঋণী থাকবে, শহিদের রক্ত-ঋণে!
রফিক শফিক সালাম বরকত প্রিয় জব্বার ভাই,
হারিয়ে গেছে চিরতরে ওরা, কোথাও খুঁজে না পাই!
ফাল্গুন-চৈত্র এই দুটি মাসে বসন্তের বসবাস
গ্রীষ্ম আসছে ফলমূল নিয়ে সেইতো মধুমাস।
চৌদিক আজ রঙে রঞ্জিত, এই পুষ্পখচিত বঙ্গ
শুভ বসন্তে কেউ রয় না যেনো, একাকী নিঃসঙ্গ !
গুন গুন রবে মুখর করিছে দল বেঁধে মধুকর,
কোকিলের ঠোঁটে বাজে কুহু তান,কতো যে সুখকর!
চোখ গেলো পাখি করিছে কূজন বনকুঞ্জতলে,
কী হলো তার দুটি চোখে আজ,কে দিবে তা বলে ?
এমনি রয়ে যায় কতো যে কথা, বঙ্গভূমিকে ঘিরে
বসন্ত আসুক ফুলেল সাজে, প্রতিবার ফিরে ফিরে।
কবিতা এখন সাঙ্গ হবে, বসন্তকে নিয়ে লেখা,
সুযোগ মতো সবার সঙ্গে আবার হবে দেখা।
সবার প্রতি রইলো আমার বাসন্তি অভিনন্দন,
অটুট থাকুক সবার সঙ্গে হৃদয়ের চিরবন্ধন।।