বেলা যে গড়িয়ে এলো
সন্ধ্যা যে হয়ে এলো
পথ যে অনেক দূর।
প্রভু যে আমার অপেক্ষায় আছে
পাপ পুণ্যের পুস্তক লয়ে
বৈকুন্ঠে না হয় সাত সমুদ্দুর।


হেলায় খেলায় মেতেছি রঙ্গে
মিথ্যা আর দুর্নীতির সঙ্গে
থেকেছি যৌনতায় মত্ত।
প্রভুকে ডাকার সময় পাইনি
জীবন যেন এক ছবির কাহিনী
অর্থ উপার্জন আর ভালোবাসার শর্ত।


করিনি দুখিরে দান
ভরাইনি গুরুজীর প্রাণ
মন্দিরে দিইনি জল,তুলসী, ফুল।
অহংকারে পরিপূর্ণ তনু
জগতের বিভেদে পড়ে রইনু
অবিচারে অনাচারে করেছি ভুল।


এখন মনে এলো ভক্তি
দেহে নেই এতটুকু শক্তি
চোখের জলে যদি বয়ে যায়।
অকূল দরিয়ার নেই কোনো ঠাঁই
বৈঠা ছাড়া নৌকা কি করে বাই
কুঁজো হয়ে ভাবি বসে নিরালায়।


নিজের জীবন থেকে নিয়েছি এই শিক্ষা
সময়ের কাজ সময়েই কর, নিয়ে সৎ গুরুর শিক্ষা
করো না অহংকার, ব্যভিচার।
মানুষকে মানুষ ভাবো
গুরুজনের সেবা করো
মানব ধর্ম করহ আচার।