তুমি বাহাদুর
তুমি শ্রেষ্ঠ সন্তান,
                  বাঙ্গালীর অহংকার।
বাংলার ভুখন্ড রক্ষায়,
দিয়েছো জীবন
তাজা রক্ত দিয়ে,
                করেছো বাংলার ভূমি উদ্বার।।


১৮ এপ্রিল ২০০১,
অতর্কিত হামলায় ভারতীয় বিএসএফ!
কুড়িগ্রামের বৌমারী উপজেলার বরাইবাড়ী,
বিডিআর ক্যাম্প দখল
আশেপাশের গ্রাম সকল
গোলার আঘাতে সব লন্ডভন্ড
এ যেন হঠাৎ করে আসা নতুন কোনো মহামারি।


কামানের গোলা, রাইফেলের গুলির বাণ!
প্রস্তুতি ছাড়াও থেমে থাকেনি বিডিআর জওয়ান।
সাথে ছিল গ্রামবাসী
দেশকে ভালবাসি
নিঃশেষে প্রাণ, দিল তিন জওয়ান!
নাম না জানা এলাকাবাসী।


বরাইবাড়ী আজ নেই ভারতের,
বাংলার পতাকা উড়ে মুক্ত স্বাধীনের।


কিন্তু সেই দিনের সেই ক্ষত,
আজ আমার হৃদয় জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে
চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে অবিরত।


হ্যাঁ, ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদ মিয়া
তুমি আমার গর্বিত পিতা,
দেশ মাতৃকাকে ভালোবেসে দিয়েছো বলিদান
করোনি কর্তব্যে অবহেলা।


শেষ বার কোলে নিয়েছো আমায়
বুকে নিয়ে করেছো আদর,
দেড় মাসের তোমার "আশা",
বুঝিনি সেই চুমুটাই শেষ বারের ভালোবাসা,
বাবার স্নেহ আর ভালোবাসার চাদর।


আজ ১৮ এপ্রিল ঐতিহাসিক বরাইবাড়ী দিবস,
তোমায় স্মরণ করে দেশ,
বীরের রক্ত হয়না নিঃশেষ,
গর্বিত আমরা সবাই নিয়ে তোমার  সাহস।


লুকিয়ে ঝরা মায়ের চোখের পানি,
ভাই_বোনের কান্নার মানে এখন জানি,
দূর থেকে বাবা করো  যাও দোয়া
গর্বিত বাবার গর্বিত সন্তান মোরা
বিপদে যেন হাল ধরতে পারি।।