বরষার এক সকালে
দেখেছি তোমায়, একপলকে!
তুমি আলতা রাঙা পায়ে,
ডুবো ডুবো পথের ধারে,
ইশারায় কি যেন কি! বললে আমাকে!


সেই থেকে প্রতিটি ভোরে
ঘুম থেকে উঠি জেগে,
ডুবো ডুবো পথের পানে
চেয়ে থাকি স্থির নয়নে।
তুমি আসবে বলে,
ভালোবাসবে বলে
খুশিতে পাগলপারা মনে মনে।


দেখে  দেখে বর্ষার মেঘ কেটে যায়
প্রকৃতি নবরূপে নিজেকে সাজায়,
বনফুল, কাশফুলে ভরে গেছে বন
বিষণ্ণতায় ভরা আমার এই মন।
চোখের কোণে নদী
বয়ে যায় নিরবধি
অজানা ভালোবাসার মায়াবী টানে।


এভাবেই কেটে গেল পাঁচটি বছর...


এক বৃদ্ধ দাদু হেঁটে এলো খালি গায়
ডেকে নিয়ে গেল দাদু আমায় নিরালায়,
বুঝি বাবু বুঝি তুমি খুঁজছো যাকে
পদ্মার গ্রাসে নিয়ে গেলো যে তাকে,
বেঁচে আছে নাকি !
তাই স্রষ্টাকে ডাকি,
ফিরবে বলে আশায় থাকি নদীর বাঁকে।


মনকে বলি আর কাঁদতে মানা
দুচোখের অশ্রু যেন শ্রাবণ ধারা,
ভাগ্যে যদি থাকো আসবে ফিরে
পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে আমার ঘরে
যতদিন বেঁচে থাকি
তোমার আশায় বাঁচি
জীবন কাটিয়ে দিবো তোমায় ভালোবেসে।


এর কিছুদিন পর.......


বৃদ্ধ দাদুর ঘরে কিযে শোরগোল
সারিসারি জনতার নামলো যে ঢল,
হারানো মেয়েটি যে আসলো ফিরে,
চুপিসারে উঁকি দিলাম আমি ধীরে ধীরে।
দাদু আমায় নিলো ডেকে
হাতটি দিলো আমার হাতে
আশীর্বাদে বুকে নিলো পরম যতনে।


ছবিটি গতবছরের কোন এক সময় তুলেছিলাম,
বিটাক, সাগর পাড়, চট্টগ্রাম