অবসর সত্যিই তুমি আছো আমার অনুভবের মধ্যে,
নাকি বয়ে চলেছো সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ার জন্য।
যা কিছু অনুভবহীন অস্থায়ী, অদৃশ্য সেই সব শক্তির মতো
আমার হৃদয়ে, সে কী আমারই হৃদয় নাকি
শৈলগহ্বরের থেকে নির্গত জলের শীতলতার রূপে আমাকে আচ্ছন্ন করে আছো,
অবসন্ন হৃদয় আর অবসাদ জড়িয়ে আছে সমস্ত শরীর জুড়ে,
তবুও হৃদয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা, অতৃপ্ত ইচ্ছেরা সব দ্রুত ছুটছে,
সেখানে সময় পেছনে পড়ে থাকে,
কল্পনার আকাশ জাগ্রত থাকে অনন্ত ইচ্ছেরা শুধু ধাবমান,
সেই সব চেতনরা আঘাত হানে যারা বহুকাল বহুবার,
বি্ংশ শতাব্দীর দরজায় কড়া নেড়ে হতবাক আর
হতভম্ব হয়ে থেকে,
বেদনা আর অসহায় এর নিকট আত্মসমর্পণের অভিঘাতে,
জীবনের সব আস্বাদ থেকে আপনাকে বিরত রেখেছিল।
সভ্যতার কাছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জিজ্ঞেস করে ক্লান্ত ও সন্ত্রস্ত ফিরে গিয়েছিলো,
আমি সেই সব চেতনার মধ্যে অবসাদে ক্লান্ত,
জীবনের অর্থ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো অনর্থক হয়ে পড়ে,
তাহলে কোথাও কী অবসর আছে?
যেখানে অতীতের স্মৃতিরা এসে ভীড় জমায় না,
অবসর হৃদয়কে দোলা দেয় দিগন্তে যেমন প্রাতঃকালে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে
জীবনের অর্থ তখনই পাওয়া যায় যেন!
ক্লান্ত পথিক যখন শান্তি ফিরে পায় অশ্বত্থের নিচে তার শীতল ছায়ায়।