বাংলা বছরের পয়লা দিনটা –
                  কেমন কাটলো ?


   আশা- আকাঙ্ক্ষার গ্যাস ভড়া বেলুন
                     আকাশে ভাসলো ,
                        না  উড়ানের আগেই ফাটলো ?


প্রথম পর্ব  ( আপটু)  সকাল দশ ,
                 কবিতার  প্রত্যাখ্যান –
‘ ভাই ১৪/৪ তো দিলাম তোকে –
       ১৫/৪ এ তুই আসরের বাইরে বস ,''
তাই পর্ব এক-শুধুই আপ্সোস ।


দ্বিতীয় পর্ব ( আপ্টু ) মধ্যাহ্ন পাঁচ ,
            আত্মীয় স্বজন -
                       ব্যাপক ভোজন-
উপ্সস ,   পেটফাটা ভোজ, তবু নেই আজ বারন-
                           খাওয়া দাওয়ায় বর্ষবরণ-
                 রশনা তৃপ্তি আন্তরিকতায়
                              পেলাম পরম স্নেহের আঁচ ।
     আপনজনের চেনা অতীত-
                       শীতল পাটি-
                  কত কথা আর কিছু কাটাকুটি –
আমি  ‘ স্লিপিং- মোডে ’-এক কোনেতে চিত ,
                   গিন্নীর হুকুম “ হালখাতা কোরতে
                             পাঁচটায় বেরোন ঊচিত  ।”


শেষ পর্ব সন্ধ্যা সাতটা থেকে ,
        পিতৃদেব সব্বাইকে   বলেন হেঁকে –
“ অনেক হোল ভোজন ,
     এখন শুধু গান, আর নাচন কোদন ।”
এটা আমার সেরা প্রাপ্তি পয়লা বৈশাখে ,
                 সূর ও বেসূর মিলেমিশে একাকার-
                       কিছু  করার   ইচ্ছে সবার-
          এই মায়ার বন্ধন ,
                        সারা বছর অটুট যেন থাকে ।
আমার নববর্ষ ১৫/৪ রাত বারোটাতেই শেষ ,
   ব্যর্থতা দিয়ে  শুরু  হোলেও-
        গ্যাস বেলুন  তো  উড়ে গেছে অজানা দেশ ,
           ফুরফুরে  একটা আবেস-
                 আমার  সব  চাওয়া-পাওয়ার
                           এটাই বিধাতার নির্দেশ !