মাঝে মাঝে বলিরেখারা আয়নার মুখোমুখি দাড়ায়, দম বন্ধ করে, বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে আরও একটু আকাশ ছুঁতে চায়। বলিরেখা অনেক দিন অপেক্ষা করেছে এই দিনটার জন্য। জলে ধোয়া হয়ে চামারর টানটান অনুভূতি, সাবান জল, খসখসে হাত, ঘর্ষণ। বলিরেখার দম বন্ধ হয় আসতে চায়, তবু সে চুপ করে থাকে।
বলিরেখা জানে আজই সেই দিন। আয়নার সামনে উচ্ছ্বাস মুহূর্ত তার বেঁচে থাকার রসদ। সামনের জানালায় থরে থরে সাজানো রঙিন আলো; বলিরেখা দেখে, ভাবে, এবার সে ঘুমিয়ে পরবে। ঘুমের মধ্যে সে তার সম্পূর্ণ জীবন কাটিয়ে দেবে।


আয়না জানে তার কাজ শুধু ফিরিয়ে দেওয়া। ফিরতি সব কিছুই তার ভেবে আনন্দ পায় একটা গোটা পরিসর। পরিসর জানে না, তার পাওয়াটা ভ্রান্তি, আর ভ্রান্তির ভুলে একটা একটা রাত তারাদের থেকে দূরে চলে যায়। আয়না বুঝতে পারে, মাঝে মাঝে প্রবল ঝাঁকুনি হয়। মুখ থুবড়ে পরে থাকা টুকরো পরিসরে, আয়নার বিলাপ লুকিয়ে চুরিয়ে ছুরি চালায়। ক্ষত চিহ্নের দাগ দেখে মনে পরে, এক দিন এখানেই দাড়িয়ে ছিল ...
আয়নার জানে তার কাজ কখনো শেষ হবে না। পরিসর ফিরে চাইবে তার দখলদারি। নিত্য যা ফেলে আসি আয়নার সামনে, অপেক্ষা করে; আরও একটা ঘুম ভাঙার।