এমন বাদল দিনে অবিরাম মেঘ যায় ভেসে;
পাখিরাও ফিরে আসে নিজ গৃহে আবেগ উচ্ছ্বাসে।
সূর্যের প্রখর তাপ ইথারের সাথে যেন মেশে;
ছোট বড় গাছগুলো মাথা তোলে সুনীল আকাশে।

চারিদিকে দেখি শুধু ঘন কালো মেঘের সম্ভার;
ঢেকে যায় অন্ধকার  দুর্নিবার বাজে রণ ডঙ্কা।
মনের মন্দিরে শুধু উঁকি ঝুঁকি স্মৃতির পাহাড়।
হৃদয় প্রাঙ্গনে জমে হিমবাহ অশনি আশঙ্কা।

আকাশের বুক থেকে ঝরে পড়ে বাদলের ধারা;
বিদ্যুৎ চমক দেখি, চক্রবালে অশান্ত নিনাদ। 
ঝড় বেগে বায়ু বহে; প্রকৃতিও যেন এক হারা;
আহারে বাদল দিন! আমি যেন প্রভাহীন চাঁদ ।

তুমি নেই পাশে আজ ; আমি একা জানালার ধারে।
কত প্রেম কত কথা মনে পড়ে শুধু বারে বারে।


©দীপঙ্কর সাধুখাঁ।
রচনাকাল: ১লা আষাঢ়, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
ইংরাজী: ১৬ই জুন, ২০২১।
-----------------------------------------

অমানুষ

তোমার ভিতরে আছে ভয়ঙ্কর রাক্ষুসে দানব;
কেন তুমি করে যাও পৈশাচিক নারকীয় নৃত্য?
মনুষত্ব হারিয়েছো তুমি আর নেই তো মানব;
তোমার বিকার দেখে ভীতিগ্রস্ত মানুষের চিত্ত।

তোমার শিরায় হয় প্রবাহিত বিষাক্ত তরল;
কুৎসিৎ কর্মকাণ্ড করো তুমি সমর সম্মুখে।
কদাকার দেহখানি যেন এক পাশবিক বল;
কুকথায় পঞ্চমুখ অহরহ অপশব্দ মুখে।

ভয়াবহ জঙ্গলের তুমি এক ক্রুদ্ধ জানোয়ার;
কখনো মানোনি পোষ চেয়ে থাকো জঙ্গলের দিকে।
বিষাক্ত সাপের মতো ফনা তোলো তুমি বার বার;
তোমার ছোবলে বিষে একদিন হয়ে যাবো ফিকে।

তোমার শরীরে আছে ভয়ঙ্কর জন্তুদের রক্ত;
তুমি এক অমানুষ, এটা বলা নয় খুব শক্ত