একজনের অন্তরে সদা অগ্নি জ্বলে;
পরিবারে সুখ নেই, অশান্তিতে ভরা।
স্বার্থান্বেষী লোক তাই মগ্ন ছলে বলে;
একটাই কাজ তার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা।


দেখায় টাকার জোর অপর বেহায়া;
জিলাপির প্যাঁচ মন, মোটা বুদ্ধি তার।
রোষানল জ্বলে চোখে, নেই দয়া মায়া;
হৃদয়টা তার যেন ঈর্ষার পাহাড়।


তৃতীয় জনের আছে বড়ই উচ্চাশা;
একা তাকে মনে হয় যেন শূন্য খাম।
স্বপ্ন দেখে রাজা হবে দু'জনে ভরসা;
মিটমিটে দুষ্ট তার উপযুক্ত নাম।


তিন মূর্তি যদি সাথে সময় কাটায়
তারা বড় সর্বনাশা ফন্দি এঁটে যায়।


© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
রচনাকাল: ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
ইংরেজি: ১২ই মে, ২০২২।
কলকাতা, ভারত।


পৌষ পার্বণ


এসে গেল শীতকাল কুয়াশার দিন
বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসব চলে।
কারো ঘর থাকবে না পিঠাপুলি হীন;
পরবের দিনখানি বড় ঝলমলে।
  
খেজুরের গাছে কত ঝুলে থাকে ভাড়;
ভাড়গুলো ভরে যায় খেজুরের রসে।
শীতের সকালে রস খেতে মজাদার;
দোকানিরা বিক্রি করে গুড় হাটে বসে।


গুড় কিনে লোকজন বাড়ি ফিরে আসে;
ঘরে ঘরে তৈরি হয় পিঠা রকমারি।
পিঠাপুলির পার্বণ চলে পৌষ মাসে;
আত্মীয় স্বজনে ভরে বাঙালির বাড়ি।

পৌষ পার্বণ হয় না পিঠাপুলি ছাড়া।
বাঙালিরা উৎসবে হয় মাতোয়ারা।


© দীপঙ্কর সাধুখাঁ
রচনাকাল:  ১৬ই নভেম্বর, ২০২১।


-----------------------------------------
স্মৃতির ডায়েরি


স্মৃতির ডায়েরি খুলে খুঁজে পাই,অসীম আনন্দ
ঝরে পড়ে ফুল হয়ে অবিরত হৃদয় প্রাঙ্গণে।
বর্যায় আকাশ হতে ঝরে বৃষ্টি, সঙ্গীত ও ছন্দ।
রাশি রাশি সুখ ঝরে জীবনের বিস্তৃত অঙ্গনে।  


খুঁজে পাই সবুজাভ গ্রাম, পাশ দিয়ে ছোট নদী
বয়ে যায় কুল কুল সুর তুলে; শুনি কত গীত -
ঝিঁ ঝিঁ স্বরে ঝিঁঝি পোকা গেয়ে যায় গান নিরবধি;
বসন্তের দিনে বাজে কোকিলের মধুর সঙ্গীত।


স্মৃতির পাতায় দেখি, একসাথে কত পাখি ওড়ে
ডানা মেলে নীলাকাশে সিক্ত হতে শীতের রোদ্দুরে।
নিবিড় আনন্দধারা মৃদুমন্দ বাতাসের তোড়ে
হৃদয় সাগরে এসে ঢেউ তোলে কল কল সুরে।


অতীতের দিনগুলো কোনদিন আসবে না ফিরে;
সুখের মুহূর্ত গুলো ভিড় করে মনের কুটিরে।


© দীপঙ্কর সাধুখাঁ।
৩০শে নভেম্বর, ২০২১।