তিন বছর আগে হঠাৎ একরাতে
হয়েছিল পরিচয় তোমার সাথে
এক সোসাল মিডিয়াতে।
তারপর বেশ কিছু রাত
কথা হয়েছিল তোমার সাথে
হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে।
হঠাৎ বুঝতে পারলাম
তুমি অতি সহজেই
স্পর্শ করেছো আমার হৃদয়কে।


তারপর ধীরে ধীরে
হয়েছে গভীর আমাদের বন্ধুত্ব।
আমাদের সম্পর্কটা ছিল
হয়তো বা বন্ধুত্বের চেয়েও কিছুটা বেশি।
বন্ধুত্ব, সৌজন্যতা বোধ, সুখ, দুঃখের কথা
শেয়ার করতাম মার্জিত ভাষাতে।
কখনও বা ব্যক্তিগত কথা হত
তোমার সাথে বন্ধুত্বের সীমানার মধ্যে।
ব্যাস! শুধু এইটুকু।


তখন ছিলাম আমি
এক জটিল সাংসারিক বন্ধনে বাধা।
তাই তারপর
তোমার সাথে আমার
হয়নি তেমন কথা।
ছ'মাসে ন'মাসে
হায়, হ্যালো,
কেমন আছো, ধন্যবাদ-
এর চেয়ে বেশি নয়।


স্বপ্ন ছিল-  নয় কল্পনায়,
বাস্তবে একদিন
তোমার সম্মুখীন আমি হব।
আর আমার কবিতায়
চিত্রিত করব তোমাকে
ও আমাদের বন্ধুত্বকে;
কিন্তু তিন বছরেও
তা হয়নি সম্ভব
বিভিন্ন কারণে ও অকারণে।


তিন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে
ধীরে ধীরে।
কিছু দিন আগে এক সকালে
হঠাৎ দেখলাম
তুমি দাঁড়িয়ে আছো এক বাস স্টপেজে
তোমার গন্তব্যস্থলে যাওয়ায় জন্য।
তুমি উঠলে গাড়িতে।
দুজনে ছিলাম কাছাকাছি
কিন্তু হল না সুযোগ কোন কথা বলার।

তোমাকে দেখলাম প্রাণ ভরে।
দেখলাম তুমি অতীব সুন্দরী।
তোমার কণ্ঠ শুনে মনে হল -
এটি কোকিলের গানের চেয়েও মধুর।
রুচিশীল পোশাক ও মার্জিত কথাবার্তায়
মনে হল তুমি নিজেকে নিয়োগ করেছো
মানুষ গড়ার কারিগরিতে।
কিছুক্ষণ পরে যখন তুমি গাড়ি থেকে নেমে গেলে
তখন আরও একবার মুগ্ধ হল আমার হৃদয়।


আজ আমি মুক্ত, মুক্ত বিহঙ্গের মতো।
আর আমার কবিতার জগৎ
এক স্বাধীন ক্ষেত্র- যেটা শুধু আমার।
এখানে নেই ব্যথা, নেই বেদনা;
এর নেই কোন সীমানা।
এখানে আছে সৃষ্টির আনন্দ;
আছে পরম শান্তি ও স্বর্গীয় সুখ।
তুমি র'বে, আমিও র'ব এই সুখের জগতে।
আর আমাদের বন্ধুত্ব র'বে চিরকাল অমর হয়ে।


©দীপঙ্কর সাধুখাঁ
২৯ শে জুলাই, ২০১৮।