আবেগ ঘন শীতের দুপুরে মৃয়মান সূর্যালোক ,
বেগুনি এ আকাশে জীবন্ত প্রতীক্ষা , হায় !
বহু বছরে সেই ইচ্ছে আজ আরও প্রবল হল ;
হাঁড় কাপান এক স্বপ্নীল শব্দে যখন –
আমার মোবাইল ফোনের রিংটোন বেজে উঠল ।


কিজানি নাম তার , একদা কত নামে ডাকা ,
আটলান্টিকের চেয়েও গভীর ছিল মনের বন্ধন ;
হিমশীতল আটলান্টিকের সমস্ত চেতনা বরফ হয়েছিল –
‘হ্যালো’ ,ধ্বনিতে যেন ঝড় উঠেগেল ,
সমস্ত চেতনার বরফ ভাঙ্গতে শুরু করল ।


কালো সে গভীর রাতের অপেক্ষা আমি ভুলে গেলাম ,
দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলে ডুবন্ত সূর্যের –
সূর্যালোক মেখে আজ যেন প্রানবন্ত হলাম ;
প্রিয়তমা আমায় ভলেনি ,আমি তার নাম ভুলেছি মাত্র ,
তবু কন্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক মাপতে কর্ণ ভুল করেনি ।


নববধূ সে আজ ,সুখী গৃহকোণে তার বিচরণ ;
এ সভ্যতায় তাকে মানিয়েছে হয়তো বেস ,
সুদৃঢ় , গৌরবর্ণ – আর্য স্বামি তার ,
কিন্তু এ দ্রাবিড় সভ্যতা সে আজও ভলে নি ,
এইটুকই বা কম কি ।


পরকীয়া নয়, পুরনো স্মৃতি রোমন্থন নয় –
নেহাতিই যান্ত্রিকতার ভুলে খুঁজে পাওয়া সে স্বর ;
প্রিয়া ,প্রিয়তমা আমার – আমি বলিনি ,
তবু চোখের আদ্রতা দূরভাষে প্রত্যক্ষ করলাম ;
আমার হাতও ঘেমে গেল ।


আজ সূর্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারত ,
মেঘ জড়ো করতে হীমেল হওয়া আর কিছুটা সময় নিতে পারত ,
কিন্তু ঝিঝির ডাক সন্ধ্যের ঘণ্টা বাজাল ,
আর “ওগো আসছি ।“ বলে সে আর্য সভ্যতায় মিলিয়ে গেল –
বুকের কোন রহস্য সিন্দুকে এ দ্রাবিড় সভ্যতাকে লুকিয়ে রেখে ।