পত্রমিতা
অনুভব করি আজো তোমাকে-
শেষ রাতের ধূম্রশলাকার শেষ সুখটানে।
অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে রবি ঠাকুরের কোন গানে।।
তুমি আজো নাকে আসো বাসমতি চালের ঘ্রাণে,
চায়ের কাপে উষ্ণ চুমুকে সঞ্চার জাগাও প্রাণে।
চোখের দেখাই হয় নি কেবল এই যা ব্যবধান
তোমার লেখাতেই স্পর্শ খুঁজেছি,অনুভুতি অম্লান।।
চিঠির মাঝে লুকিয়ে ছিল কত প্রেম-কত সংঘাত!
মেঠো পথে আকাশ পানে কত দীর্ঘরাত।
শত বাঁধাকে হার মানিয়ে কত চিঠি চালাচালি
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলে আশায় গুড়েবালি।।
সুস্পষ্ট হাতের লিখনে আজো ভাসে তোমার ছবি
হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলে তাই সারাক্ষণ ভাবি।।


পত্রমিতা
দখিনা বাতাসে আজো কি মন তোমার দোলে?
তোমার কলম থমকে গেল বলতো কার ভুলে?
আমরা তো সময় গুনতাম কবে হবে দেখা
মনে মনে কথার ছলেতোমার ছবি আঁকা।
ভাগ্যের গুণে পত্রমিতা এমন কারো কপালে জুটে
তোমার খোঁজে অজানায় সহস্রবার মনটা যে ছুটে।।
এলো মন অপেক্ষায় রয়-কবে হবে আবার সন্ধি
কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শরীর,মন যে ডাকবাক্সে বন্দী।