পৃথিবীর নিয়ম বড় নির্মম।নিয়তি নিষ্ঠুর।।
জীবনটা যেন সাদা-কালো কাগজে মোড়ানো
বিষন্নতার ভীষণ বড় এক  প্যাকেট।।
সুখ যেন বাজারে কিনতে পাওয়া যাওয়া কোন পণ্য।
টাকার বিনিময়ে আনন্দ কেনা।
আর কষ্টটা ফ্রিতেই পাওয়া।।
আর চাওয়া পাওয়ার হিসেব!!
নিউটনের ক্যালকুলাসও বোধ করি অনেক সহজ।


এগুলো এপারের হিসাব।আর আমি তো এখন সাঁকোতে।
ওপারের যাত্রী।।
অনন্তের পথে।।
এপারে হয়তো সুখ ছিল না।
কিন্তু ওপারটা যে বড্ড অচেনা।
টিকিট পেলাম মাত্র কয়েক মিনিটে।
অথচ ট্রেনের টিকিটের জন্য কমলাপুরে কত ঝুলেছি মানুষের কাঁধে।।
অপেক্ষার তর যেন সইছে না আমার;
আগুনের অপেক্ষায়।।


শেষ দেখা নিশ্চয়ই নয়।
কত শত সেলফি রেখে যাচ্ছি  মুঠো যন্ত্রে।।
সিমটা আমার পকেটে।আর কিছু চিঠি।।
শরীরের ওজোনটা বেশ বেড়ে গেছে।
চারজন মিলে পারবে তো??
চোখ বন্ধ করে উপরে দেখছি।সংকীর্ন আকাশ।।
হাত পা গুলো ক্রমশ ঠান্ডাই হচ্ছে।
মরা মাছের মতো ফুলছি।
ঘাপটি মেরে উঠোনের কোনে বসে আছে।বাবা।।
বাবা অযথা টেনশন করে।।
আরে!মামার বাড়িই তো যাচ্ছি।মায়ের দেশে।।



এবার কঠিন উষ্ণতায় ছেয়ে গেল চারপাশ।
শরীর নয়; যেন যন্ত্রনা পুড়ছে।অবসান অবসাদের।।
ভালো লাগার তীব্রতা যেন বাড়ছে!
ধীরে ধীরে আমি উড়ছি আকাশে।
ভাসছি বাতাসে।।ছাই হয়ে।।
পা রাখছি।ওপারে।।
মুক্তির সন্ধানে।।