আমার কলমেও প্রতিবাদ ঝরে
জেদ অঙ্কুরিত হয় শিরায় শিরায়।
সুপ্ত চেতনাকে আমিও জাগাই
বিষক্রিয়ায় পুড়ে আমার কন্ঠ হয় নীল,
রক্ত টগবগ করে অবিরত।
আমিও উন্মাদ হই।
প্রতিবাদে ঝর ঝরে কাঁপে আমার জিহবা
উত্তাল হয় আমার মন সমুদ্র।
আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।
তবু আমি যেন-
এক পাথর দন্ডের মত স্থির।
পর্বতের মত অটল।


রাস্তার মোড়ে যখন হায়েনা গুলো চোখ দিয়ে
গিলে খায় শান্ত কবুতরের ডানা।
আমি দেখি।আমি বিস্ফোরিত হই।কিন্তু
আমার রক্ত দানা শিথিল রাখি।
ক্রোধকে বুক পকেটে লুকিয়ে রেখে রাস্তা মাপি।।
ওতো নিরাপদে  আছে।খাঁচায়।আমার পায়রা।।
চাপাতি চুমু দেয় কলমের পিঠে, আর
উষ্ণ লাল বর্ণ ঝরে সবুজের বুকে।
আর আমি আক্ষেপ খামচে ধরি।
আমার কলম তো যত্নে আছে।বাক্সে।।


বুলেট বিদ্ধ হয় অন্তঃসত্ত্বার স্বপ্ন
কামনায় ভস্ম হয় ছয় বছরের শিশু।
দারিদ্র‍্যকে পুঁজি করে চলে গণতন্ত্রের চাকা
শকুনিরা আঁচড়ে ধরে ঘরনীর কেশ।
সময় উপহাস করে বিধবার সাদা শাড়ীতে।
স্বাধীনতাকে চিবিয়ে খায় মূর্খের দল।
রাজনীতির কাদা ছুড়াছুড়ি
হলুদ সাংবাদিকের ছড়াছড়ি।
মজুরের রক্ত চুষে মালিকের কোলস্টোরেল বাড়ে।
মিথ্যার ভারে সততা চাপা পড়ে।
আমি সব বুঝি।সব দেখি।
আমার অনুভূতি নাড়া দেয়।তবু
দৃষ্টি ঢাকি কালো চশমার আড়ালে।
নিথর হয়ে থাকি।আর প্রতিবাদ?
কি দরকার?কার জন্য?


রাজপথের প্রতিবাদে গুলি ছুড়ে
কলমের প্রতিবাদে বিক্ষত হয় দেহ।
আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।
ভয় পাই আমি বিনে আমার পরিবারের অসহায়ত্বকে।
অন্তত লাশ হয়ে না ফিরি মায়ের কোলে
সত্ত্বাকে বেচে দিয়েছি তাই  অক্ষমতার কাছে।
আর আমি জীবন্ত লাশ হয়ে  বাঁচি।।