আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি নি;
মুক্তির আজন্ম নিশান বয়ে চলেছি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
রক্তের উষ্ণতায় বার বার শিহরিত হয় প্রাণ,
সহস্র মায়ের অসহায় আত্মসমর্পণের বিনিময়ে মুক্তির সন্ধান।
জানি আজো বাংলার বুকে ছড়িয়ে আছে
অসংখ্য আমি;অসংখ্য মায়েরা আজো নীরবে কাঁদে সে বীভৎসতায়!
আমি গর্বে ভাসি মায়ের ত্যাগে;
সমাজের দেয়া কালিমা মেখে আমায় ধারণ।
মায়ের সে সাহস আর উদ্যোমের কাছে আমার যে  আমৃত্যু  ঋণ;
তিলে তিলে বেড়েছি এক অচেনা বাতাসে।
কে বলেছে পিতৃহীন?যুদ্ধ আমার পিতা!
বাংলার মাটি আমার মায়ের কোল;
তোমরা যে স্বাধীনতার রস আস্বাদনে মত্ত
আমি সে স্বাধীনতার শেষ চিহ্ন।
তোমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমি জারজ,অপয়া কিংবা অন্য কিছু!
আমার মায়ের স্বপ্ন আমি।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা কোন মায়ের বেঁচে থাকার রসদ।
আমি আমার মায়ের সাহস,বীরত্ব আর ধৈর্যের প্রতীক।
মুক্তির জীবন্ত স্মারক।
আমি সেই সব নারীদেরই সন্তান,
যারা আজো নিজের অতীত লুকিয়ে বাঁচে।
যারা একটু খানি স্বীকৃতির  প্রত্যাশা আজ আর করে না।
চোখের অন্তরালে
নিভৃতচারী আমি।তবু-
বলতে চাই সে ভ্রুণ সেদিন নষ্ট হয় নি
তোমাদের ঘরে ছিল বিজয়ের উল্লাস
আর আমার জন্ম দীর্ঘশ্বাস আর লজ্জার মাঝে।
সে ক্ষণ ভেবে আজো নিশ্চয়ই,-
আমার কোন  মা দাঁড়িয়ে রয় নির্বিকার,
চারপাশে এতো হইচই
কে ই বা শুনবে এই যুদ্ধশিশুর হাহাকার!!


রচনাকালঃ ১৬/১২/২০১৫