রূপের আগুনে পুড়ে নরপশু
লালা ঝরে ওদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে।
টেনে হেঁচড়ে ছিড়ে খায় যৌবন,
বুভুক্ষ শকুন যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে অর্ধ মৃত দেহে,
নীরব আর্তনাদ মিশে কুটিলের গ্রাসে,
কিছু অভিনয়।সুখ প্রাপ্তির।কিংবা সাময়িক সুখ।
শরীর জাগে প্রকৃতির নিয়মে,
মন বন্দী থাকে অসহায়ত্বের কুঠোরে।
তবু বেঁচে থাকার তাগিদে এই যুদ্ধ!
রাতের আঁধারে শুরু,আলো ফুটলেই শেষ!
প্রাপ্ত প্রশান্তিতে টাকার হাত বদল,
সস্তা মূল্যে।উনুন তো জ্বলে!
ভাতের হাড়িতে উৎ পেতে থাকে ক্ষুধার্ত শিশুটি,
স্বামী পরিত্যক্তা নারীর একমাত্র সম্বল।
সঙ্গী বলতে ও ই।।সন্তান।তার সুখ।।
কথিত সুশীল সমাজ দিনের বেলায় ভ্রু-কুচকায়;
গায়ে মেখে দেয় পতিতার কলঙ্ক।
আর রাতের আঁধারে দর কষাকষি।
মুল্য বিনে চেখে দেখার প্রয়াস!


ওরা নিরূপায়।নিষিদ্ধ পল্লী ই ঠিকানা।
সত্ত্বাকে বিক্রি করে টিকে  থাকার লড়াই।
অস্তিত্ব সংকট!তবু-
সামলানো যায় না বেঁচে থাকার লোভ।
শত ধিক্কারেও রসদ যোগায়-পতিতাবৃত্তি।