(  কবি ডঃ প্রীতিশ চৌধুরীর কবিতা পাঠে অণুপ্রাণিত হয়ে এই কবিতা লেখা  )


নারী যদি অস্পৃশ্যা হবে ,দেবীরা তো নারীই  তবে,
তাহলে দেবীরা কেন অস্পৃশ্যা নাই হবে ?
তাদের কি নেইকো জাত পাত ?
তাদের শাস্ত্রে কিবা বিধান আছে ,
মন্দিরে প্রবেশিবে কোন কোন জাত ?


শাস্ত্রে কি লেখা আছে ,দেব দেবী কে কোন জাতি ,
শুনেছি কৃষ্ণ নাকি গোপনন্দন ,যদুকুলপতি ।
তাবলে কি লোকে তারে করেনা ভজন ,পূজন ,
গুহক চন্ডালে রাম  মিতা বলে করেছিলেন আলিঙ্গন ।
সবরেরাও রক্তে মাংসে গড়া শরীর ও মন,
তাহারাও লভিয়াছে মানবীর গর্ভে জনম ।


পুরোহিত সমাজ পুরোভাগে প্রতিষ্ঠা ,লাগি ,
কর্ম ,যশ ,সম্মানের পূর্ণ অধিকার তরে ,সৃষ্টি করে জাতি ।
দেব দেবী পূজ্য ,বর্ণ শ্রেষ্ঠ ,তাহাদেরি একমাত্র আছে অধিকার ,
মণ্দিরে প্রবেশ আর দেব দেবী র মণ্ত্র উচ্চারন করে , পূজিবার ।


সবরেরা নিচূ জাতি,তাদের নাহি কোন অধিকার ,
মণ্দিরে প্রবেশ আর দেব দেবীর পূজিবার ।


হে দেবী ! তুমিও কি রবে নিরবে -
ইহার কি প্রতিকার কখনো নাহি হবে ?
ওগো সবর ,সবরী ,বাহিরে দাঁড়ায়ে কেন তবে -
কর শুদ্ধ মন ,হস্তে লয়ে পুষ্প চন্দন ,পূজ দেবী -দেবে ।


তোমরাও  দেবতার সৃষ্ট মানুষ ,
তোমাদেরও মনে আছে হুঁশ ।


  
       **************
দূপুর - ২:৩৪ মিনিট ,
৩০/১০/২০১৮ মঙ্গলবার ,
কেরাণীটোলা - মেদিনীপুর