রাধিকা চলে যেগো প্রেম অভিসারে ,
চরণে নুপুর তার বাজে বারে বারে  ।
চলিতে নুপুর পায়ে রুনু ঝুনু বাজে ,
এদিকে শ্রীরাধার মন বসেনাকো কাজে ।
শ্বাশুড়ী ননদী দেয় ঘরে গুরু গঞ্জনা ,
বাঁশী ডাকে রাধা বলে মন মানেনা ।
ওগো বাঁশুরীয়া তোমার থামাও মোহন বাঁশী  ,
ও নামে ডেকোনা আর ,আমি গৃহে পরবাসী  ।
এলাইয়া এলোকেশ যেমতি যোগিনী বেশ ,
আলুথালু বসন তার না বাঁধে কবরী কেশ ।
কৃষ্ণমেঘ দেখে তার কৃষ্ণ মনে আসে ,
কি করে যাইবে রাধা শ্রীকৃষ্ণ সকাশে ।
জল ফেলি জল আনিতে চলে যমুনায় ,
ছল করি গাগরী ভরনে রাধা অভিসারে যায় ।
যমুনার তীরে কৃষ্ণ তমালের শাখে ,
বাঁশীতে ফুকারি কৃষ্ণ রাধা রাধা ডাকে ।
চলেনা চরণ সদা ভয় ,লোকলাজ ,মনে ,
কি করে করিবে দেখা কালিয়া বঁধুর সনে ।
আমি যে অবলা নারী না বুঝি তব ছলাকলা ,
বুকের মাঝে সদা ভাবি হা-কৃষ্ণ ,হা-কালা  ।
বাঁশীতে সদাই তুমি 'রাধা 'বলে ডাকো ,
শ্বাশুড়ী ননদী ঘরে কেন বোঝনাকো ।


     🎡🎡🎡🎡🎡🎡🎡🎡🎡🎡


সকাল -৮:৩০ মিনিট ।
২১/১০/২০১৬ শুক্রবার ।
কোলকাতা ।