বসন্ত বিরহ আজ ঘুরে দ্বারে দ্বারে ,
।প্রনয়ে বিহ্বল ক্লান্ত বুঝি উৎসব মুখরে ।
শিমুল রাঙা পলাশ রাঙা রাঙা হলো বন ,
কীজানি কতদিনে বঁধুর রাঙবে হিয়া মন ।


ফাগুন মাসে পলাশ হাসে শিমুল ধরে গান ,
যৌবনে বসন্ত জ্বলে ফুলে মধূপের গুনগুন গান ।
লাল কৃষ্ণচূড়ার রঙে আবীর রঙে রাঙে হিয়া মন ,
প্রজাপতি পরিনীতা পরিনয় ডোরে বাঁধে দুইজন ।


হিমরাত শেষে নীরবে বসন্ত এলো অন্দরে যখন ,
বিস্ময়ে রাঙে পলাশ শিমুল রাঙে কৃষ্ণচূড়ার মন ।
বিবর্ন ঝরাপাতাগুলো ঝরে গিয়ে দেয় বসন্তের জানান ,
বসন্তে বাসন্তীপূজা তার সাথে পরিনীতা জাগে প্রাণ মন ।


ফাল্গুনে বসন্তের হাওয়া যৌবনের বনে করে আসা যাওয়া ,
মঞ্জরিল আম্রমুকুল মধুলোভে গুন গুন গঞ্জনে মধু খাওয়া ।
ভ্রমরা মধুর আশে উড়ে যায় যেথা ফুল ফোটে সৌরভ ছড়ায় ,
উড়ে বসে ফুলে ফুলে মধু পিয়ে ফুলের সাথে মিতালি পাতায় ।


ফুলে ফুলে জমে মধু মধুকর মধু লোভে গুনঞ্জনে সেথা ধায় ,
মুপ আর মালতীর মিতালিতে গুন গুন গুনঞ্জনেমন ভরে যায় ।
কোকিলের কুহুতানে মনে জাগে মিলন তিথি বসন্তের ছোঁয়ায় ,
বয়ে আনে ফাগুনের প্রেমপরীতি আনন্ত উৎস আনন্দ ধারায় ।


ফাগুনে আগোন লাগে অবগুন্ঠন খোলে মনের দরজায় ,
কৃষ্ণচূড়ায় ধরেযে আগুন লাগে আগুন হৃদয়ের আঙ্গিনায় ।


          *********************
রাত্রি - ৮ : ৪৪ মিনিট ।
০৪ /০৩ /২৪ সোমবার ।
কোলকাতা ।