যেই পেরোল মাস কয়েক বৌটা মরার পরে ,
বুড়োর আবার সখ হয়েছে বৌ আনবে ঘরে ।
পঁচাত্তোরের বুড়োর যেন আনন্দ না ধরে ,
পঁচাত্বুরের বুড়ো মিনসে ঢুকলো আবার ফুল -
                                   শয্যার ঘরে ।
ফুলশয্যা ঘরে ঢুকেই বুড়োর ঘোমটা খোলার তাড়া ,
নাকি সুরে  তখনই আওয়াজ এলো "সঁবুর কঁর দাঁড়া "।


পঁচাত্তোঁরেও পৌঁছে রেঁ তোঁর এঁকটুঁকুঁ নেই লাঁজ  ,
  আঁমি মরেঁ যাঁওয়ার পঁরেই তুঁই পঁরছিঁস বঁর সাঁজ ?
  আঁয়তো দেঁখি কাঁছে আমার ধঁরবো টিঁপে টুঁটিঁ ,
   তোঁকে নিয়েই নূতন কঁরে বাঁধবো দুঁজনে জুঁটি ।


বুঁড়ো বঁয়সে দেঁখছি রেঁ তোঁর সঁখটা নয়রেঁ মন্দ ,
সঁখটা আঁজ মিটিঁয়েঁ দেঁবো ঘোঁচাবোঁ বিঁয়ের আঁনন্দ ।
লাঁজ লঁজ্জার মাথাঁ খেঁয়েছিঁস ধঁরেছে ভীমরঁতি ,
গায়েঁর চামড়াঁ লোঁল  হঁয়েছে নেই নড়ার সঙ্গতি ।


যেই না বলা লাফিয়ে উঠে ধরলো বুড়োর হাত ,
ভিরমি খেয়ে ভয়ের চোটে বুড়ো হলো কূপোকাত ।
ঘোমটার ভেতর  বৌ যে তখন হাসছে অট্টহাসি ,
বুড়ো তখন জোড় হাতে কয় "বৌ তোকেই ভালোবাসি " ।
জোড়হাতেতে চাইছি মাফ একাজ হবেনা আর ভুলে ,
ভয়েই বুড়ো বরের যত সাজ ফেললো সবই খুলে  ।


         ×××××××××××××××××××××××××
দুপুর - ১ :৫০ মিনিট ।
২৪ / ১২ / ২২ শনিবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।