তুমিই শেষ তুমিই সুরু মরুতে তুমিই মরু ,
তুমি আদি তুমি অনন্ত তুমিই আদি গুরুর গুরু ।
তুমি আনন্দ তুমি সচ্চিতানন্দ পরমব্রহ্ম পরাৎপর ,
তুমি সৃষ্টি তুমি শেষ তুমি প্রলয় ঝঞ্ঝা  সারাৎসার ।


তোমার বাঁশীর সুরে শ্রীরাধা নিজেতে নিজেই হারা ,
দুহাত তুলি কি কহে মেঘ পানে না চলে নয়ন তারা ।
রাঁধিতে যায় রন্ধনশালে শ্রীমতি রন্ধন ভুলে যায় ,
দুই নয়নে ঝরে বারি বিনোদিনীর বক্ষ ভাসে তায় ।


তুমি কাঁদালে মা যশোদাকে কাঁদালে শচীমাতাকে ,
হইলে ভেক সন্ন্যাসী হরিনামে মত্ত হয়ে প্রেমাশ্রু বহে বুকে ।
তুমি ইহকাল পরকাল কালাকাল তুমিই প্রভু মহাকাল ,
  গোঠেতে গোপাল রাখাল রাজা তুমি শ্রীনন্দের  দুলাল  ।


সত্যযুগে বৈকুন্ঠে হইলে তুমি প্রভু  সত্যনারায়ণ ,
ত্রেতায় অবতীর্ন তুমি ধনুকধারী রাম দশরথ নন্দন ।
দাপরেতে কৃষ্ণ শিশুরূপে স্তন্যপানে পূতনা নিধন ,
কলিতে গৌরাঙ্গ তুমি হরিনাম দিয়ে মাতালে ভূবন ।


ভক্তিভরে যে ডাকে তোমারে তুমি তার বাঁধা ,
ভক্তিমতি শ্রীরাধার নামে তোমার বাঁশী সাধা ।
ভক্ত প্রহ্লাদে হিরণ্যকশিপু পাহাড় হতে ফেলে ,
তোমার ভক্ত প্রহ্লাদে তুমি কোলে তুলে নিলে ।


নৃসিংহ রূপে রেখে জানু পরে হিরণ্যকশিপুরে ,
বক্ষ চিরে রক্তপান কর তার গলায় নাড়ীভুঁড়ী পরে ।
চার অবতার রূপ ধরে তুমি কর প্রভু জগৎ উদ্ধার  ,
ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রভু চার যুগে তুমি হও অবতার।


তুমিই সৃষ্টির মূলাধার তুমিই ধ্বংসের কর বিচার  ,
তুমি  অনন্ত তুমিই অন্ত এই বিশ্ব সংসার মাঝার ।


           **************
রাত্রি - ৯ : 0২ মিনিট ।
১০ /১২ / ২৩ রবিবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।