কাব্যের কবি আমি চলি কাব্যের সাথে ,
ধরি হাতে কখনো রাখি বুকে কখনো মাথে ।
তারে কখনো মাখি ভাতে কখনো নিই পাতে ,
কখনো উড়ি পাখীর সাথে কখনো আকাশ পথে ।


গৃহের শিক্ষিকা কবিতা আমার কখনো হয় গৃহিনী ,
আবার সবুজ অবুঝ হিয়া তার আবার কখনো মেদিনী ।
কখন আদরের সোনামণি কখনো ক্রোধানলে উন্মাদিনী ,
শোকাকুলা বিরহিনী কখনো আবার সম্বরিনী মা জননী ।


সবুজ সোনালী ক্ষেত গৃহবধূ কিম্বা ষোড়সী পল্লীবালা ,
সাজে সিঁথিপরে টিকুলী গলে হাঁসুলী ভূবন করে আলা ।
কোটীবন্ধ কোমরে দোলে বাহুতে বাজুবন্ধ হাতে বালা ,
অঙ্গুলে অঙ্গুরি  শোভে শিরে স্বর্ন মুকুট শোভে যেন চন্দ্রকলা ।


সবুজ মাঠে আলপথে বাউল গান গেয়ে চলে বাউলিয়া ,
গাবগুবি বাজিয়ে হাতে গান গেয়ে যায় মেঠো পথ দিয়া ।
ঘোমটা মাথায় গ্রাম্যবধূ কলসী কাঁখে জল ভরে নদী গিয়া,
আঁকা বাঁকা পথ ধরে চলে চাষী চাষের কাজে সে পথ ধরিয়া ।


স্বর্ন মৃগ বেশে রামের বনিতা সীতারে  বন মাঝে  ভুলায় ,
রাম লক্ষ্মণ দুই ভাই স্বর্ণ মৃগ ধরিবারে মৃগয়াতে যায় ।
দৌড়াইয়ে স্বর্নমৃগ গভীর অরণ্য মধ্যে অন্তরালে লুকায় ,
দেখিতে না পায় স্বর্নমৃগ আচম্বিতে হারিয়ে গেলো সে কোথায় ?
              
              **********************
রাত্রি -১০ :১৩ মিনিট ।
২২ / ১২ / ২৩ শুক্রবার ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।
কবি শরীফ এমদাদ হোসেনের "কবিতায় জেগে থাকি " কবিতাটির মন্তব্যে আমার এই কবিতা বর্দ্ধিতাকারে লেখা । কবিকেই উৎস্বর্গ করলাম ।