নধর-নশ্বর দেহ কতদিন রবে,
প্রাণ অন্তে ধূলি সাথে মিলে মিশে যাবে ।
মনুষ্য জনম নয়, ভোগ-বিলাস তরে,
জীবন কর্তব্যময়, সবার উপরে ।
মনুষ্য হইয়া যদি কর্তব্য না  করে,
বিষ্ঠাসম ঘৃনা তারে সকলেই করে ।
যাঁহাদের ইচ্ছায় তুমি,পৃথিবীতে এলে,
যৎ সামান্য কর্তব্য তুমি তাওনা করিলে ।
মাতা-পিতা  সম গুরু নাহি এ জগতে ,
তাঁরা না আনিলে তুমি, কেমনে আসিতে ?
মৃত্যু শয্যায়, মাতা-পিতা, মৃত্যু সাথে যুঝে,
তাহা দেখে, ছেড়ে গেলে, দায় না নিলে বুঝে ।
অন্তিম  সময় তাদের, সেবা-যত্ন না করিলে,
প্রায়শ্চিত্য 'কর্তব্য' হেতু, ব্রাহ্মন ডাকিলে ।
প্রাপ্য লাগি, প্রায়শ্চিত্য 'বিধান' দিল তারা,
তোমার সু-নাম লাগি তাইকর ত্বরা ।
বিনা চিকিৎসা, অনাহারে তারা, ফেলে চলে এলে,
যৎ সামান্য কর্তব্যটুকুও, সবভুলে গেলে ।
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, লাগি কর্তব্যে মগন ,
তুমিও হইবে একদিন, তাঁহাদের মতন ।
যৌবন, সৌন্দর্য্য, শক্তি, কতদিন রবে,
তাঁহাদের চেয়েও তুমি অধিক হীন হবে ।
বার্দ্ধক্য করাল গ্রাস, তোমারে বধিবে ,
দিনে দিনে, তুমিও তাঁদের মত কিন্তু হবে ।
দেহ চর্ম লোল হবে, দৃষ্টি হবে ক্ষীণ,
সব কিছু আশা, ভরসা, হইবে মলিন ।
মৃত্যু শমন যখন তোমার আসিবে,
মাতা-পিতার ন্যায় ব্যথা তুমিও পাইবে ।
বার্দ্ধক্য, জ্বরা, ব্যাধি, মৃত্যু, ছাড়িবেনা তোরে,
মাতা, পিতা সম ধন, নাহিক সংসারে ।
  ************
২২.০৯.২০১১ বৃহস্পতি বার, বসন্তপুর