এই মেয়ে তোর হাতে কেন নেইকো শাঁখা পলা ?
চাকুরী করিস বলে কি তোর এয়োতীর চিহ্নকে অবহেলা ?
এই মেয়ে  কেনরে তুই  এতোই বেপরোয়া  ,
বিবাহিতা হয়েও যে তুই পরিসনি শাঁখা নোয়া ।
বিয়ের সময় মেয়েরা অগ্নি সাক্ষী করে পরে নোয়া শাঁখা ,
তোর মতো এতই অত্যাধুনিক মেয়ে আর যায়না  দেখা ।
জানিস কি তুই তোর সাজ দেখে লোকে করে হাসা হাসি ,
লজ্জা শরম নেই কি রে তোর নেই মান সম্মানের ভয় কি ?
এখনকার মেয়েরা যে সব পোষাক পরে হয় লালসার শিকার,
এতেও কি তোদের নেই লজ্জা মাথার কি হয়েছে বিকার  ?
যদিও তারা আশি থেকে পাঁচ ,কাউকে ছাড়েনা  ,
তবুও সমাজ তাদের দিকে আঙ্গুল তোলে না ।


এই মেয়ে তুই শোনরে কথা মার্জিত পোষাক পরে  হ' ভদ্র ,
সমাজ যেন না আঙ্গুল তোলে যেন না বলে অসভ্য অভদ্র ।
ও মেয়ে তুই বাইরে ঘরে ক্ষত বিক্ষত হোস রোজ রোজ ,
নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে  মুক্তির পথ  তুই খোঁজ ।
এমন কিছু কাজ করিস না রে  যেন লোকে না বলে মন্দ ,
যে কাজ তুই করলে পরে তোর মনে মনেই হয় দ্বন্দ্ব ।
তুইই তো তোর ভবিষ্যতের প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাবি ,
সেই প্রজন্মকে সু-শিক্ষায় মানুষ গড়ে  বড় করে তুলবি ।
তোকে দেখছি তোর মাতা পিতা দেয়নি কোনোই  সু-শিক্ষা ,
কি ভাবে তুই হয়েছিস বড় ধরিস না কিছুই  শিক্ষা ?


      ××××××××××××××××××××××××××
বেলা - ১১ : ২৬  মিনিট ।
৩০ / ১২ / ২২ শুক্রবার  ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।