ভিন্ন ভিন্ন আহ্বাওয়ায় বিরূপ আচরণ ,
প্রকৃতি করেছে অন্যভাবে আত্মাকে হনন ।
প্রকৃতি মাতাকে যদিনা করে সুরক্ষণ ,
তবে জীবের গতি হবে অকালে মরণ বরন ।
রোগ ব্যাধি মহামারী অতিমারী তারই লক্ষণ ,
জীবকুল কি ভাবে বাঁচে খোঁজ সেই পথ এখন ।


সহ্য ধৈর্য্যর সীমা যখন অতিক্রম করে বার বার ,
তখনই মনে জাগে জিঘাংসা প্রতিশোধ নেওয়ার ।
মানবের অত্যাচারে জর্জরিত সর্বংসহা এই মেদিনী ,
মানব দৈনন্দিন জীবন যাত্রার পথ এখনো ভাবেনি ।
পৃথিবীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপর দুর্বিসহ অসহনীয় আচার ,
জলাশয় বন্ধ করে শ্যামল সবুজ বনানীকে করে ছারখার ।


কি করে সইবে বলো ধরিত্রী দুর্বিসহ অকথ্য জ্বালা যন্ত্রণা ,
সন্তান স্নেহে ধরেছে বক্ষে বুক ফাটে তবু মুখতো ফোটেনা ।
বার বার সইতে নারে এই অবিশ্বাস্য জ্বালাময় অসহ্য যন্ত্রনা ,
তাই সেই যন্ত্রণা বুবেরাঙ এসে বুকে বেঁধে মানবে তা ভাবেনা ।
হয় খরা নয় ঝরা কিম্বা শীতলতম বনতল বৃক্ষ শুন্য বনময় ,
জলাশয় শুষ্ক মরুভূমির সম তপ্ত অবিরাম অগ্নিবারি বর্ষণ হয় ।


এই শান্তিময় সুন্দরী ধরিত্রীকে নিত্য নিত্য করে ছারখার ,
নিজেরাই মরণ গর্ত খুঁড়ে নিজেদের গর্তে পড়েছিস আবার ।


          ***********************
সন্ধ্যা - ৬ :১১ মিনিট ।
২৭ / ০৪ / ২৪ শনিবার ।
কোলকাতা ।