ভালোবাসার কাঙাল যে সে  প্রেমের ভীক্ষারী ,
তাই দ্বারে দ্বারে ঘুরে সে প্রেম ভীক্ষা করি ।
কৃষ্ণকে ভালোবেসে নাম বিলায় প্রতি ঘরে ,
আবার কৃষ্ণ নাম ভীক্ষা মাগে প্রতি দ্বারে দ্বারে ।


কৃষ্ণকে ভালোবেসে হলেন সন্ন্যাসী নদের নিমাই,
আবার কৃষ্ণ প্রেমে পাগল হলো বিনোদিনী  রাই ।
দেখিয়া কৃষ্ণমেঘ  মনে পড়ে রাধারানীর কৃষ্ণকালা ,
চাঁচর চিকুর কেশ কালার গলে দোলে বনফুলমালা ।


হাতেতে মোহন বাঁশী কালার মাথায় মোহন চূড়া ,
শিরে শিখি পাখা গলে রত্নহার কোটিতে পীত ধড়া ।
কৃষ্ণনামে নদীয়াবাসী ভাসে গোরা হলো মাতোয়ারা ,


বৃন্দাবনের কুঞ্জবনে বাঁশরী বাজায় কৃষ্ণলালা সেইখানে ,
কাঁখে কলসী যমুনায় চলে শ্রীমতী ছল করে পানি ভরনে ।
কালারে পূজিবার তরে অভিসারে যায় রাধারানী নিধুবনে ,
জটিলা কুটিলা  আয়ান হেরে সেথা কৃষ্ণকালী পূজে একাসনে ।


কৃষ্ণ বরণ মেঘ হেরি রাধার না চলে  নয়নের তারা ,
কৃষ্ণ নামের মহিমায় গোরার দু'নয়নে বহে অশ্রুধারা ।
নদীয়ার পথে পথে ঘুরে নিমাই হরি নামে মাতোয়ারা ,
ধূলায় লুটিয়ে গড়াগড়ি যায় নিমাই বাধা নামানে অশ্রুধারা ।


কৃষ্ণকে ভালোবেসে রাধারানী যোগিনী বেশে কলঙ্কিনী,
কৃষ্ণ নামের মোহে উন্মাদিনী মীরাবাঈ হয় সন্ন্যাসিনী ।


           *****************
বিকাল - ৪ : ৫৪ মিনিট ।
২৬ / ১২ / ২৩ বুধবার  ।
রবীন্দ্রনগর = মেদিনীপুর ।