কে তুমি বংশীধারী কৃষ্ণমুরারী ,
মাথায় চূড়া পীতধড়া রাসবিহারী ।
অলকা তিলকা ভালে গলে বনমালা দোলে ,
মোহনচূড়া শিরে শিখি পাখা বামেতে হেলে ।
হাতে শোভে স্বর্ন বলয় দু'কানে কুন্ডলদ্বয় ,
ঢুলু ঢুলু আঁখিদ্বয় গোঠে রাখালরাজা কয় ।
গলে গজমতি হার চাঁচর চিকুর কেশের বাহার ,
হাতেতে বাঁশের বাঁশী রাধা রাধা সুর তার ।
বৈকুন্ঠে লক্ষ্মী নারায়ণ কালীদহে কালীয়াদমন ,
মথুরাতে কংস ধ্বংস কর লঙ্কায় বধ রাবন ।
অযধ্যায় দশরথ নন্দন তুমি রাম ধনুকধারী ,
গোলকে গোলকবিহারী হরি কৈলাশে ত্রিপুরারী ।
যমুনায় ব্রজগোপিনীরা করে জলকেলি ,
তাদের বস্ত্র হরণ করে রাখ তমাল ডালে তুলি ।
ব্রজগোপিনীর সাথে খেল বৃন্দাবনে রঙোলী ,
নিধুবনে দেখালে রূপ হয়ে কৃষ্ণকালী ।
নন্দের নন্দন তুমি মাযশোদার জীবন ,
পাতকী উদ্ধার হেতু তুমি পতিতপাবন ।
যুগে যুগে অবতার হয়ে তুমি অবতীর্ন ,
নরসিংহ রূপ ধরে কর হিরণ্যকশিপুর
বক্ষ বিদীর্ন ।
××××××××××××××××××××××××
রাত্রি - ৮ : ০৫ মিনিট ।
০১ / ০৫ /২৩ সোমবার ।
কোলকাতা ।