বৎসর পরে আমার উমা এলো রে ঘরে ,
তোরে না হেরে মন যে আমার কেমন করে ।
আয় মা আয় ঘরে দেখি তোকে নয়ন ভরে ,
কত কষ্টে ছিলি মা তুই এতদিন হরের ঘরে ।


শুনেছি মা কৈলাশপুরে জামাই নাকি ভিক্ষা করে ,
কত কষ্টে হরের ঘরে ছিলি উমা বল আমায় তাই।
ব্যাঘ্রচর্ম কোটিবন্ধ'পরে শশ্মানে মশানে সদা ঘোরে ,
গাঁজা ভাঙ খায় সদাই সারা অঙ্গে মাখে ভস্ম ছাই ।


শুনেছি তোর এক সতীন আছে শিব সঙ্গে সদা থাকে ,
শিবসঙ্গ ছাড়েনা সে তার মস্তকপোরি বাস করে সদাই ।
জাহ্নবী সদা শিব সঙ্গে জটা'পরে নৃত্য করে কত রঙ্গে ,
শিব নাকি মা তার সঙ্গে নৃত্যে রত ঘুরে বেড়ায় কোথায় ।


গাঁজা ভাঙ খেয়ে ষাঁঢ়ের পরে চড়ে নন্দী ভৃঙ্গি সঙ্গে করে,
ভূজঙ্গ ভূষণ অঙ্গে ধরে শিঙ্গা ডম্বরু সদাই ফুকারি ঘুরে ।
গঙ্গা নামে সতা তার তরঙ্গ এমনি জীবন স্বরূপা সে স্বামীর শিরোমণি ,
ভূত নাচিয়ে পতি ফেরে দ্বারে দ্বারে নাজানি কেন যে তোর কপাল এমনি ।


সদা ঘুরে তোরে ছেড়ে তুই মা একা থাকিস ঘরে ,
সোনার অঙ্গ মলিন করে তোর কথা সে ভাবে নাই ।
এবার নিতে এলে লুকিয়ে ঘরে রাখবো তোরে ,
বলবো তারে হরে ফিরে যাও উমা আমার ঘরে নাই ।


      
       ***********************
সন্ধ্যা - ৬ : ১৮  মিনিট ।
২২ / ১০ / ২৩  রবিবার ।
কোলকাতা ।