নায়ের ধারে এলাম আমি
হাতে বৈঠাখানি।
উঠবো আমি ওই নায়েই
সাথে নেই সঙ্গী।


স্রোত হেসে উপচে পড়ে
নায়ের পাশে নদীর ধারে।
বলে...,
“ আমায় ভেঙ্গে যাবে কিভাবে;
নৌকা যাবে ডুবে।’’
আমি বলি,
“ডুবে গেলে
পাড় হব নদী সাঁতরে।’’
সূর্য্যি বলে,
“আমিতো যাচ্ছি ডুবে;
আমায় কিভাবে সঙ্গে নিবে?’’
আমি বলি,
“নেই অসুবিধে
যাব ওপারে চাঁদের আলোয়ে’’
“আমাবস্যা আজ হে!’’
বলে সে হেসে।
“ক্ষতি নেই তবে
মনের আলোয় পথ নেব চিনে”
আমি তারে দিলাম বলে।


মেঘ বলে গুম গুম গর্জে,
“বৃষ্টি এখনই হবে
বিপদ যাবে বেড়ে।’’
গেলাম না ভড়কে,
গেলাম না তর্কে।
বললাম তাকে,
“আমি বিজলীর আলোয় পথ নেব চিনে
যাবই, আমি যাবই ওপারে।”


ওপার আমায় ডাক দিয়ে বলে,
“বন্ধু হে! থাক মনোবলে।
বিধাতা তোমার খুবই কাছে
বিপদ যাবে বশে।
তুমি পারবে,তুমি পারবে।
বিধির বিধানে
দ্যাখ বন্ধু হে!
তোমারি নাম আছে।”