(আরিফুর রহমান)
জানো বন্ধুরা! কালকে আমার সাথে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে দেখা হয়েছিল(কল্পনায়)। আমারতো তো অনেক দিনের ইচ্ছে সোনাদাদার সাথে  কথা বলবো।দেখে প্রথমে সালাম দিলাম দাদাসোনাকে।দাদা জবাব দিলেন আস্তে করে;  তাকে মনে হল অনেক চিন্তিত। আমি বললাম দাদা গো আমি তোমার ভক্ত দাদা। আমার কবিতা কি হয় দাদা ? আমাকে একটু শিখিয়ে দিবে কিভাবে কবিতা লেখবো।কিন্তু সে কোন কথা বললেন না। চলে গেলেন।আমি হতাশ হয়ে গেলাম।  এরপর আবার ফিরে এলেন হাতে একটা শিকল নিয়ে।তারপরে সে নীচের কথাগুলো আমাকে বললেন----
               শিকল
ওরে শিকল পড়া পায়। ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ঝুমুর ঝুমুর হিংসা কণা নূপুর দিয়ে পায়,
এপার থেকে ওপারে সে দৌড়ে দৌড়ে যায়।
ওরে শিকল পড়া পায়। ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ও যে নাক উঁচিয়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে বেজায় মজা পায়,
ও যে উড়ে উড়ে ঘুরে বেরায়,এই জগতে হায়।
ওরে শিকল পড়া পায়, ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ও যে কিরণ ফেলে তোড়ন নিয়ে কালোর পথে ধায়,
ও যে নয়নটারে বন্ধ করে অন্ধ বনে যায়।
ওরে শিকল পড়া পায়। ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ও যে আলোর গীতি জানেনারে কালোর গীতি গায়,
ও যে হেসে হেসে নেচে বেড়ায়,নেবেনা যে দায়।
ওরে শিকল পড়া পায়। ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ও যে মুক্ত পথে সুপ্তভাবে ঢোল বাজিয়ে যায়,
ও যে দিন দিন যায় বীণ বাজিয়ে আমাদেরি গায়।
ওরে শিকল পড়া পায়। ওরে! শিকল নিয়ে আয়।
ও যে মন দিয়েছে পণ করেছে থাকবে পাষাণ কায়,
ও যে পায় পায় রাখে শয়তানী হায়,কুড়াল মারে নায়।
ওরে শিকল পড়া পায়,ওরে শিকল পড়া পায়।
...............................................................


এরপরে হল কি জান, আমি তার দেওয়া সেই শিকলটা আমার মনের সিন্দুকে রেখে দিলাম।