কতো পূর্ণিমা এলো-গেলো
কতোবার ডুবে গেলো চাঁদ;
অন্ধ প্যাঁচাটাও গেছে মরে
করে শেষ ইঁদুর শিকার।
তবু মৃত্যুর আহ্বানে
সাড়া দিতে নাই পেরে
সে এখন চরম শেয়াল।


মাঝেমাঝে তবু কোনো ফাগুন রাতে
বধূ হয়তো তুলছে খাবার শিশুটির পাতে,
লাশকাটা ঘর থেকে কোনো এক নিস্তব্ধতা এসে
জানায় তাকে, “এই বুঝি চেয়েছিলে তুমি—
এমন জীবন!”


সে ভুলে যায় তখন সেও ছিলো ব্যাঙ,
প্যাঁচা হয়ে সেই ছিলো অশ্বত্থের ডালে—
যেবার চাঁদ গেলো বেনোজলে ভেসে।
শিশু–সুখ–প্রণয় রেখে
তাইতো সে উঠে গেলো।
অর্থ নয়–কীর্তি নয়–স্বচ্ছলতা নয়—
রক্তের ভেতর খেলা করা কোনো এক
বিপন্ন বিস্ময়ের টানে।


রাত্রির আঁধারে মরে গেলো ইঁদুর-ছুঁচো;
ফিরে এলো ঘরে এক রঙিন শেয়াল—
ভগবানই জানেন কতোটা মিথ্যে তিনি বলেন!


—১৮ অক্টোবর ২০২০।