আকাশ: কতটা নীরবতা পুষতে পারো তুমি?
আগে তো এমন ছিলেনা,
আজকাল তোমায় খুব অচেনা লাগে কেন?
নীলা : নীরব!  একমনে নীল আকাশপানে চেয়ে আছে।
আকাশ : কি হলো!  কিছু বলছ না যে?
আমি কী তবে চলে যাবো।
নীলা : একটা দীর্ঘশ্বাস নিলো খুব জোড়ে। তখনো " নীরব "
আকাশ : তুমি কী আমার আগমনে বিব্রতবোধ করছ?
নীলা : আকাশের চোখে চোখ রেখে বললো, আর কিছু বলবে?
আকাশ : তুমি কী আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছনা?
নীলা : হুম, চাই তো!  
তোমার কী সময় হবে, আমার অগোছালো কথাগুলো শুনার জন্য?
আকাশ : তুমি কী বলতে চাচ্ছো খুলে বলো।
নীলা : তুমি শুনতে পাওনা, আমার আত্ম-চিৎকার, তুমি বুঝতে পারোনা আমার হৃদয়ের হাহাকার, তুমি বোঝনা অভিমানের ভাষা, তুমি খোঁজনি কখনো নীরবতার মানে, তুমি দেখতে পাওনি অদৃশ্য জল। আমি হেরেগেছি নিজের কাছে, আমি ব্যর্থ, আমি পারিনি বোঝাতে, আমার অনুভূতিকে।
আজ অপবাদ দিয়ে গেলা তোমার আগমনে আমি বিব্রত হই, এতটুকুই চিনলে আমায়?
আমার আর কিছু বলার নাই,
শুধু একটা প্রশ্ন করবো উত্তর দেবে কী?
আকাশ : এত সহজেই এভাবে বলতে পাড়লে?
আচ্ছা বলো কী জানতে চাও?
নীলা : এখনো কি আমায় মনে পড়ে?
আকাশ : জানিনা!  তবে আমি এখন আর ঘুমাতে পারিনা, তারারাও কথা বলে না, চাঁদ ও হাসেনা।
আমার চারিদিক ঘিরে আছে ঘন আঁধারে, নিঃসঙ্গ  লাগে নিজেকে, এর নাম যদি তোমার শূন্যতা হয় তাহলে হ্যাঁ, আমি বিশাল শূন্যতায় পড়ে গেছি।
নীলা : তবে দূরে রাখা কেন?
আকাশ : অজানা অভিমানে।
নীলা : আমিও যে তেমনি!
আকাশ : চলো অতীত ভুলে সামনে আগাই।
নীলা : বেশ!  চলো দূরে কোথাও হারিয়ে যাই।


৭/৯/২০১৮ সময় রাত ৯:১০