হে ধরণী তোমার বুকে করবো খেলা দিবা রজনী।
প্রকৃতি ভরা বৃষ্টির ফোঁটায়  ফোঁটায়
পূর্ণ হয় নদী নালা খাল বিল।
ডাঙ্গায় বসবাস মানুষ গরু ছাগল হাট
ডোবায়  শালুক পদ্মায়  ইলিশ।।


বৈরাগী মন করে ভ্রমণ ওই তেপান্তরে।।
হে ধরণী তোমার তরে আসবো ফিরে!
এক মুঠো রোদ ওই দীঘির ঝিলে।


বর্ষার আহ্বানে ঝর্না হয়ে ঝরবো
সদ্য ফোটা কাশবনে,
দোয়েল ,ময়না, টিয়া  রূপে।।


সূর্য সাথে মিশে কখনো চাঁদ তারার বেসে উঠবো ভেসে।
কারণে অকারণে মেঘেদের হাসা বারণ।
সহস্র বর্ণ দিলাম লেপে জন্মভূমি মাতৃত্বের স্বাদ বুঁজে।


হে ধরণী দ্বিধা নেই কভু ,
মায়ের  হস্তে শপেছি  মান অভিমান
বসন্ত কালে বাসন্তী রূপে
কৃষ্ণচূড়া হয়ে ফুটবো ছড়াবো সুঘ্রাণ।


এ পথে চলতে চলতে
জীবনে গল্পটা হিসাব মেলায় ভার।।
ছন্দে ছন্দে রচিত ধরণীর ধারায় পরিচিত।
বিসর্জিত এই হৃদয় ক্ষণে ক্ষণে স্মৃতি চরণে থেকে যায় যাক।।


হে ধরণী রাখিও স্মরণ কবিতার মাঝে লুকিয়ে  
আমি আসবো ফিরে তোমার বুকেই বার বার।