মা আসছেন ঘোড়ার পিঠে
যাবেন চেপে দোলায়,
ব্যোমভোলানাথ হেঁটেই বেড়ান
সর্পমালা গলায়।
বাহন বলতে একখানি তার
আছে বটে ষন্ড;
তাকে নিয়ে চলাই যে দায়
সবই হবে পন্ড।
সে মানেনা কোনো নিয়ম
সে মানে না আইন,
ধরলে পুলিশ গুনতে হবে
হাজার টাকা ফাইন।
তাই তো মা সদাই আসেন
একলা বাপের বাড়ি;
এসব দেখে মহাদেবের
মুখ খানা ঠিক হাঁড়ি।


মায়ের কোলে চেপে আসেন
গনেশ সিদ্ধিদাতা,
সঙ্গে আছেন সরস্বতী
হাতে কলম-খাতা।
প্যাঁচার সাথে মা লক্ষী
সঙ্গে ধানের ভান্ড,
ময়ূর চেপে কার্তিক আসেন
এলাহী সব কান্ড।
মায়ের বাহন সিংহ মশাই
দেখতে ভয়ঙ্কর,
রেগে গেলেই ঘনঘন
নাড়তে থাকেন কেশর।
আরো আছেন বৌ-টি কলা
লম্বা ঘোমটা টেনে,
গনেশ বাবা ভীষন খুশি
তাকেও সঙ্গে এনে।


বাপের বাড়ি মহাভোজ
বিরাট আয়োজন,
মন্ডা মিঠাই লুচি পায়েস
সবই প্রয়োজন।
শিব ঠাকুর লুকিয়ে দেখে
মা-কে প্রশ্ন করে;
কি কি পেলে, কি কি খেলে
গিয়ে বাপের ঘরে ?
কি আর পাব ! কি-ই বা খাব !
সেসব দিন আর কই ?
এই যে দেখ ভোগ দিয়েছে
চাট্টি ঢ্যাঁপের খই।
মা আর কথা না বাড়িয়ে
নিজের কাজে যান,
মহাদেব আর কি-ই বা করেন
গাঁজায় লম্বা টান।


নতুন নতুন জামা জুতো
কত ঠাকুর দেখা,
সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া
ভাল্লাগে না একা।
চারটে দিন দারুন মজা
খাবার রকমারি,
চলেই যাবে ভেবেই কেমন
মনটা লাগে ভারী।
আশিষ দিও মাগো যেন
সুখ শান্তি আসে,
তোমার সকল সন্তানেরা
সবাই যাতে হাসে।
এবার বুঝি সময় হল
সত্যি তোমার যাবার,
মাগো তুমি এস কিন্তু
আসছে বছর আবার।